আজ: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ জুন ২০২২, শনিবার |

kidarkar

ইনিংস বড় করতে না পারার আফসোস তামিমের

স্পোর্টস ডেস্ক:প্রথম টেস্টে হার। ফলে সিরিজ হার এড়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সামনে জয় ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। সেই সমীকরণকে মাথায় রেখে সফরকারীরা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে গত রাতে শুরুটা নেহায়েত মন্দ করেনি। তবে উইকেটে থিতু হয়ে ব্যাটসম্যানদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসার প্রবণতায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছে মাত্র ২৩৪ রানে। ফলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা কেটেছে হতাশাতেই।

শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ যে ভালো শুরু পেয়েছিল, তার মূলে ছিলেন তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটির ৪১ রানের তিন চতুর্থাংশ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকেই। ১০ রানে মাহমুদুল হাসান ফেরার পরও নিজের ছন্দটা কেটে যেতে দেননি তামিম। তবে দলীয় ৬৮ রানে বাধল বিপত্তিটা। বাজে শট নির্বাচনের খেসারত দিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির ১২ মিনিট আগে ফেরেন তিনি। আলজারি জোসেফের করা অনেক বাইরের বলে তাড়া করে কভার পয়েন্টে দাঁড়ানো জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ক্যাচ দিয়ে ৪৬ রানে ফেরেন তিনি।

সেই উইকেট ছুঁড়ে দেওয়া নিয়ে আফসোসের শেষ নেই তামিমের। বললেন, ‘এমন শুরু পেলে সচরাচর আমার ইনিংসগুলো বড় হয় টেস্টে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে বড় করতে পারিনি।’

আলজারি জোসেফের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে তাড়া করেছিলেন তামিম, তবে সেই শটে তার পা জায়গা থেকে নড়েনি একটুও। জোসেফের পাওয়া সেই আচমকা বাউন্সকে অবশ্য অজুহাত বানাচ্ছেন না তামিম। বললেন, ‘আজকে বলটা হয়তোবা আমি ছেড়ে দিতে পারতাম কিন্তু বলটা যতটুকু ওঠার কথা ছিল না ততটুকু উঠেছে। এ কারণে আমার ব্যাটের স্টিকারে লাগে। কিন্তু আমি এমন একজন যে এখানে এসে বলবনা এ কারণে হয়নি ও কারণে হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এমন শুরু পেয়ে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে টেনে নেওয়া উচিৎ ছিল। তাই আমার কোনো অজুহাত নেই।’

তামিমের সেই উইকেটের পর বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। উইকেটে অসমান বাউন্স ছিল, তাতে ৩০০ এর ওপর যে কোনো রানই ভালো হতো, বললেন তামিম। তার কথা, ‘উইকেট টা উঁচু নিচু ছিল কিন্তু আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা উচিৎ ছিল। আমরা যদি ৩০০ বা ৩২০ রান করতাম তাহলে ভালো স্কোর হত। কারণ খানিক উইকেট উঁচু নিচু ছিল।’

ব্যাটিংয়ে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি। তামিমের ভাষ্য, ‘বোলিংয়েও আমরা ২০-২৫ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি, এই রানটা কম দিলে আরও ভালো হত। কারণ ওরা যে ধরনের ব্যাটিং করে স্বাভাবিকভাবে এতো দ্রুত রান তোলে না। জন ক্যাম্পবেল ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় ২০-২৫ রান দিয়ে দিয়েছি।’

হতাশ করা ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও এলো না সাফল্য। ফলে প্রথম দিনটা কেটেছে হতাশায়। সেই পরিস্থিতি বদলাতে হলে আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটাকে গুরুত্বপূর্ণ মানছেন তামিম। বললেন, ‘কালকে সকালের সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ হবে কারণ এখানে খুব বেশি সুইং নাই। যেটা লাস্ট টেস্টে ছিল, এই টেস্টে খুব বেশি সুইং নাই। উইকেট সে কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের একটু ধৈর্য্যের খেলা খেলতে হবে। রানটা আটকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট নেওয়া যায়।’

 

শেয়ারবাজার নিউজ/খা.হা.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.