বিএসইসি’র বিনিয়োগ শিক্ষার কনফারেন্স ৩০ জুলাই ময়মনসিংহে
শাহ আলম নূর : দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই ময়মনসিংহে বিভাগীয় “বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স ২০২২” অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষিত বিনিয়োগকারী ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ময়মনসিংহ বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কনফারেন্স আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ
কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) এর যৌথ উদ্যোগে ময়মনসিংহে বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম, টাউন হল মোড়, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
প্রস্তুতির অগ্রগতি জানতে সোমবার (৪ জুলাই) প্রস্তুতি কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএএসএম তাদের লোকবল এবং তহবিল ব্যবহার করে ওই বিভাগীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ ও সম্পন্ন করবে। এ লক্ষ্য বিএসইসি’র ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের এ অনুষ্ঠানটি দুইটি ভাগে আয়োজন করা হবে। একটি হলো বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ, অপরটি হলো বিনিয়োগ শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উক্ত কনফারেন্সটিতে প্রধান অতিথি
হিসাবে উপস্থিত থাকাবেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার, মেয়র, ডিসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ অন্যান্যর উপস্থিত থাকবেন। ওই অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণকে বিনিয়োগ শিক্ষা ও সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বিএসইসি মতে, দেশের শেয়ারবাজারে এখনও অধিকাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তারা যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে জানেন না। তারা তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক বিবরণী এবং অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্যাদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন না। তাই গুজব, ধারণা ও আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে বাজারে তথ্যের অসামঞ্জস্য বাড়ে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে থাকেন। এর ফলে বাজার কারসাজির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। যার ফলে শেয়ারবাজারে ভুল বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই বিনিয়োগ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলে, শেয়ারবাজারে তথ্য অসামঞ্জস্য কমবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও দক্ষ হবে। বাজার কারসাজির সম্ভাবনা কমবে। এরই ধরাবাহিকতায় বিএসইসি ২০১২ সালে একটি ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, যেখানে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। এই উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করার জন্য স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করার কথা বলা হয়েছে। তাই জাতীয় পাঠ্যক্রমে আর্থিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি ও বিএএসএম। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিএসইসি। দেশের শেয়ারবাজারে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী গড়ে তুলতে বিএসইসির নির্দেশে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে আমাদের একটি দল ময়মনসিংহ ঘুরে এসেছে। সেখানকার বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও মেয়রের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। এ জন্য একটি ইভেন্ট ম্যানেজারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।