আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জুলাই ২০২২, শনিবার |

kidarkar

জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির সূচক আবারও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। জুন মাসে তা ৯ দশমিক ১ শতাংশে উঠেছে, যা চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে মানুষ ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার বাড়িয়েই চলছে। এতে অর্থনীতির মন্দার কবলে পড়া নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড রুখতে চীনে আবার বিধিনিষেধের কড়াকড়ি। খবর বিবিসির

এই বাস্তবতায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দাম বেশ কয়েক মাস পর প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারের নিচে নেমেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯৮ ডলার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তেলের দর কতটা কমতে পারে। বাংলাদেশের মতো দেশ কি এই সুবিধা পাবে? তবে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম ঠিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়েনি।

তার আগেই গত বছর বিশ্বজুড়ে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর হঠাৎ চাহিদা বেড়ে গেলে জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। ২০২১ সালের নভেম্বরে যখন দেশে তেলের দাম বেড়ে যায়, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের মতো।

এরপর যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর ১০০ ডলার পেরিয়ে যায়। এই বর্ধিত মূল্যে জ্বালানি আমদানি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ, অন্যদিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে গেছে। সব মিলিয়ে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

মহামারির তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড চাঙা হওয়ার মুখেই ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্রেন্ট মুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৩৯ ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে তা কমে ঘোরাফেরা করতে থাকে ১০৫-১১০ ডলারের মধ্যে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.