আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইউজ কেস সহ ফাইভজি নেটওয়ার্কের ট্রায়াল পরিচালনার করেছে গ্রামীণফোন। আজ (২৬ জুলাই) এই ট্রায়াল চালায় দেশের সবচেয়ে বড় এই সীম কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কানেক্টিভিটির ভবিষ্যৎ উন্মোচনে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার ও টেক সার্ভিস লিডার এ প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে।

যুগান্তকারী ফাইভজি প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পখাত, সমাজের উন্নয়ন এবং মানুষের প্রতিদিনের পথচলার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য এমন সব সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করবে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও টেকসই ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান সহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজধানীর জিপি হাউজে ইনোভেশন ল্যাবে ফাইভজি ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা নেন । এ ইনোভেশন ল্যাবটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখান থেকে ধাপে ধাপে ফাইভজি টেস্ট ও এর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটির শীঘ্রই অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ফাইজি ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যপূরণে আমরা ফাইভজি কানেক্টিভিটি ও এর ইউজ কেসের ট্রায়াল পরিচালনা করছি। আমি বাংলাদেশ সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নেটওয়ার্ক পার্টনার, ইকোসিস্টেম প্লেয়ার এবং গ্রামীণফোন টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই – সবাই একসাথে আগামী দিনের কানেক্টিভিটিকে (ফাইভজি) সম্ভাবনায় পরিণত করেছেন। ফাইভজি’র ট্রায়াল পরিচালনা ও ফাইভজি’র চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে প্রত্যাশী। বর্তমানে, আমরা দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোরজি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি; একইসাথে, আমরা ভবিষ্যতের সক্ষমতা তৈরি, ফাইভজি ইকোসিস্টেম বিনির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, ব্লকচেইন ও রোবোটিকসের মাধ্যমে শিল্পখাতের জন্য বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী ইউজ কেস উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে টেলিনর গ্রুপ। টেলিনর গ্রুপের অংশ হিসেবে, উদ্ভাবনী নানা সল্যুশন নিয়ে আসতে আমরা কার্যকরী উপায়ে আমাদের দক্ষতার পূর্ণ ব্যবহার করবো। এসব সল্যুশন প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের ডিজিটাল সমাজ ও অর্থনীতির অগ্রযাত্রা ত্বরাণ্বিত করতে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা রাখবে। আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসবে এবং প্রযুক্তিগত সল্যুশনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ উন্মোচন এবং এর সদ্ব্যবহার করবে।”

হুয়াওয়ে ও জেডটিই’র সাথে পার্টনারশিপে এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন ডিজিটাল-এনাবলারের ভূমিকা রাখছে, নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করছে এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল বিল্পব ত্বরাণ্বিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.