ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে খাদ্য খাতের সাত কোম্পানির
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) নয় মাসে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে সাত কোম্পানির। আর ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১০টি কোম্পানির। একটি কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। আর ক্যাশ ফ্লো অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির। একই খাতে দুই বহুজাতিক কোম্পানির দুই প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধি পাওয়া সাত কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এএমসিএল (প্রাণ), এপেক্স ফুড, বঙ্গজ, বিডি থাই ফুড, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, লাভেলো আইস্ক্রিম এবং আরডি ফুড লিমিটেড।
এএমসিএল (প্রাণ): কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৩ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ টাকা ৪১ পয়সা।
এপেক্স ফুড: কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ৪৪ টাকা ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে ১৫ টাকা ৯৬ পয়সা।
বঙ্গজ: কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৮৬ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটি নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো থেকে পজেটিভে ফিড়েছে।
বিডি থাই ফুড: কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৪৯ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা।
গোল্ডেন হার্ভেস্ট: কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৪ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ থেকে পজেটিভ হয়েছে।
লাভেলো আইস্ক্রিম: কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ৮৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা।
আরডি ফুড: কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে (৩০ মার্চ ২০২২) শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ৮১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ পয়সা।
উল্লেখ্য, ক্ল্যাশ ফ্লো একটি কোম্পানির আর্থিকভাবে কতটা শক্তিশালী, তা নির্দেশ করে। কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো যদি বেশি হয়, তাহলে কোম্পানিটিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী মনে করা হয়। আর ক্যাশ ফ্লো যদি কম হয় বা মাইনাস হয়, তাহলে কোম্পানিটিকে আর্থিকভাবে দুর্বল মনে করা হয়।