আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার |

kidarkar

এফবিসিসিআই সভাপতি

তেলের দাম বৃদ্ধিতে জিনিস পত্রের দাম বাড়বে

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় কৃষি, পরিবহন, উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানিসহ সব খাতেই প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। আর এ জন্য মূল ভুক্তভোগী হবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে শনিবার (৭ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, একবারেই ৪২ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। এটা না করে আস্তে আস্তে বাড়ালে তা সহনীয় হতো। এখন তো ব্যবসায়ীদের গায়ে লাগছে। বিশেষ করে ডিজেলের দাম অনেক বেশি বাড়ানো হয়ে গেছে। আমাদের ৪২ শতাংশ ডিজেল ব্যবহৃত হয় পরিবহন ও শিল্প খাতে। সুতরাং জিনিসপত্রের দাম তো স্বাভাবিকভাবে বাড়বেই।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার বলছে, তাদের ভার সহ্য করার ক্ষমতা আছে। এর বাইরে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। সে জন্য দাম বাড়াবে। আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকেও দোকান মালিক সমিতিসহ দু-একজন বলেছেন যে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা দরকার। এখন আমি জানি না তেলের দাম বাড়লে লোডশেডিং বন্ধ হবে কি না।
মো. জসিম উদ্দিন আরও বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, এখন দাম বাড়লেও পরে যখন দাম কমবে, তখন যেন সমন্বয় করা হয়। এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম। আগে যখন বেশি ছিল, তখন দাম না বাড়িয়ে এখন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে নিশ্চয়ই সরকারের একটা পরিকল্পনা আছে। কিন্তু এর আগে যখন দাম কম ছিল, তখন ৪৮ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা সরকার লাভ করেছিল। ওই টাকা দিয়েই এখন ভর্তুকি দিতে পারত সরকার। সেটা কিন্তু করেনি। গতকাল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এখন থেকে দাম কমলে সমন্বয় করবেন। আমিও বলব, এখন সত্যিকার অর্থে আমাদের দাম কমানোর সংস্কৃতিতে আসতে হবে।

বর্তমান মূল্যবৃদ্ধি অনেক বেশি হয়েছে দাবি করে জসিম উদ্দিন বলেন, আগে গ্যাসের দাম যখন বেড়েছিল, তখন কিন্তু আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। আমাদের এখন গায়ে লাগছে কেন? কারণ, বর্তমান মূল্যবৃদ্ধি আমাদের জন্য অনেক বেশি হয়ে গেছে।
দাম বাড়ায় চ্যালেঞ্জ আছে কি না, জানতে চাইলে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে মূল চ্যালেঞ্জ তো জনগণের। ব্যবসায়ীরা তো দাম বাড়াবেন। কিন্তু জনগণকেই সেই দাম পরিশোধ করতে হবে। মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তাই আমরা সব সময় বলেছি, ধীরে ধীরে দাম সমন্বয় করতে। সেটি করলে তেমন গায়ে লাগবে না।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.