আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ জানুয়ারী ২০১৫, শনিবার |

kidarkar

এলআইসি’র বীমা লাইসেন্স আবেদন নাকচ করেছে আইডিআরএ

licশেয়ারবাজার রিপোর্ট : বস্তুনিষ্ঠ কারণ ছাড়া ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (এলআইসি)’ র বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা করার লাইসেন্স চেয়ে করা আবেদন নাকচ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তপক্ষ (আইডিআরএ)।

এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। আইডিআরকে পাঠানো এক চিঠিতে এমন মন্তব্য করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় দুতাবাস ।
এলআইসিকে লাইসেন্স না দেয়ার পেছনে কোন বস্তুনিষ্ঠ কারণ দেখতে পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করা হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে এলআইসির আবেদন নাকচ করার বিষয় জানিয়ে জমাকৃত টাকা ফেরত নিতে ৭ জানুয়ারি দূতাবাসকে চিঠি দেয় আইডিআরএ।এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জানুয়ারি আইডিআরকে এ চিঠি দেয় বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী।
বীমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা না দেয়ার কারণ দেখিয়ে এলআইসির আবেদন নামঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিআরএ। অথচ ওইসব কাগজপত্র যথাযথভাবে সংযুক্ত রয়েছে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি।
দূতাবাস জানায়, এলআইসিকে জমা করা টাকা তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বলেন, এলআইসি বিশ্বের বীমা বাজারে অত্যন্ত পারদর্শী একটি জীবন বীমা কোম্পানি। বাংলাদেশের বীমা বাজারে কোম্পানিটি ব্যবসা করতে এলে উভয় দেশের জন্য সমান লাভজনক হতো। এমন এক দক্ষ ও ব্যবসা সফল কোম্পানিকে বীমা ব্যবসার লাইসেন্স না দেয়ার পেছনে যুক্তিযুক্ত কোন কারণ দেখছেন না বলেও জানান তিনি।
যদি কোন কারণ থেকেও থাকে তাও কোম্পানিটির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা যেত, মন্তব্য করেন ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, আবেদন নাকচ করার কারণ দেখিয়ে আইডিআরএ’র পাঠানো চিঠির জবাবে বীমা কোম্পানিটির দেয়া চিঠি বিবেচনা করলে দূতাবাস স্বাগত জানাতো।
বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা করতে লাইসেন্স চেয়ে ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল আবেদন করে ভারতের রাষ্ট্র মালিকানার জীবন বীমা কোম্পানি এলআইসি।
২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক চিঠিতে লাইসেন্স পেতে এলআইসির করা দরখাস্ত নামঞ্জুর করার সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়ে দেয় আইডিআরএ। লাইসেন্স না দেয়ার পেছনে  বীমা আইন ২০১০ এর বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে এলআইসির দরখাস্তের ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা দেখিয়ে ৩ টি কারণ তুলে ধরা হয়। দরখাস্তের সঙ্গে আবেদনকারীর ঘোষণাপত্র সংযুক্ত নেই, কোম্পানির প্রস্তাবিত প্রধান নির্বাহির জীবন বৃত্তান্তে সত্যপাঠ (এফিডেবিট) নেই এবং পরিশোধিত মূলধন ও কাজ পরিচালনার মূলধনের বিবরণী যথাযথভাবে সত্যায়িত করা হয়নি।
চিঠিতে আবেদন নাকচ করে কোম্পানিটিকে জমা দেয়া টাকা তুলে নিতে অনুরোধ করে আইডিআরএ।
জবাবে কোম্পানির চেয়ারম্যান সূর্য কৃমার রায় ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি আইডিআরএর কাছে এক চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি জানান এলআইসি বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা করতে লাইসেন্স চেয়ে করা আবেদন পত্রে উল্লেখ করা প্রতিটি তথ্য সঠিক ও সত্য। এছাড়া যে সব কাগজ পত্র নেই বলে জানানো হয়েছে তার প্রত্যেকটি দরখাস্তের সঙ্গে রয়েছে। এ জন্য  দরখাস্তটির সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্র দেখতে অনুরোধ জানান তিনি।
চিঠিতে কোম্পানিটিকে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি পূণ:বিচেনা করার অনুরোধ জানান এলআইসি চেয়ারম্যান।
শেয়ারবাজার/আ হা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.