চলতি বছরের জানুয়ারি-মে
ইইউ বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে এই রপ্তানি বেড়েছে।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। রোববার (২৮ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
‘ইউরোস্ট্যাট’র পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাস বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক পণ্য আমদানি ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। সেসময় পর্যন্ত আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যে সময়ে তাদের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি বাড়ে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
একই সময়ে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি বছরে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাতে আমদানির পরিমাণ ১০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়।
এসময়ে অন্য দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়ার পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মরক্কোর ২০ দশমিক ৫ শতাংশ পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইইউর আমদানির পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত ইইউ বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান নির্দেশ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও বিশ্ব বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রি কমে গেছে, যা তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এসব কারণ বিবেচনা করে আগামী মাসগুলোতে ইইউ বাজারে আমাদের রপ্তানি কমানোর প্রবণতা দেখানো হতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) তথ্য প্রকাশ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলার। যা শতাংশের হিসাবে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ডেটা অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের। ২০২১ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৩১৩ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ডলারের। সে হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের।