খুলনার অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ
জ্বালানি তেলে কমিশন এবং ট্যাংকলরি ভাড়া কমানোর প্রতিবাদ এবং তিন দফা দাবিতে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ও ট্যাংকলরি মালিকরা।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন তারা। ফলে খুলনা বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলাসহ ১৫ জেলায় তেল পরিবহন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ সোমবার রাতে তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি আমাদের কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ সকাল ৮টা থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি তেলের কমিশন লিটারে ১৩ পয়সা এবং ট্যাংকলরি ভাড়া ৩ পয়সা কমানো হয়েছে। যার প্রতিবাদে আজ সকাল ৮টা থেকে হঠাৎ জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে তারা। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় ট্যাংকলরিতে তেল পরিবহন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবাহান বলেন, ব্যবসা করার কোনো পরিবেশ নেই। এখনই ৮-৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়া লাগছে। আরও অনেকেই লাইসেন্স নিতে বলছেন। এতো লাইসেন্স কেন প্রয়োজন, কী কাজে লাগবে? এছাড়া তেলের কমিশন বাড়ানো এবং ট্যাংকলরি ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। অথচ তেলের দাম যখন বাড়লে তখন কমিশন সেই পর্যায়ে বাড়ানো হয়নি। অথচ ৫ টাকা দাম কমানোর সঙ্গে কমিশন ও ট্যাংকরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায় কী করছে, কী ভাবছে আমাদের বোধগম্য নয়।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম কাবুল বলেন, তিন দফা দাবি জানিয়ে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের দাবির বিষয়ে সুরহা হবে এমন কথা বলা হয়। অথচ রাতে দেখলাম কমিশন বাড়ানোর স্থানে উল্টো কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্যাংকলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সকালে খুলনার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ব্যবসায়ীরা। অনির্দিষ্টকালে জন্য এই ধর্মঘট চলবে।