আজ: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার |

kidarkar

সমাজে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরি: পরিকল্পনামন্ত্রী

সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সমাজের দুর্বল ও পিছিয়ে পড়ার মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ মানুষের জন্য কাজ করছে। সংস্থাটি দারুণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা সরকারে আছি আমাদের এক ধরনের কাজ করতে হয়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক ধরনের কাজ করতে হয়। তবে আমরা যেখানেই থাকি না কেন কাজের বহুমাত্রিকতা থাকা প্রয়োজন আছে।

সম অধিকার প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, সমাজে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্বল মানুষকে সমান সারিতে নিয়ে আসতে হবে। কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সমাজের সব স্তরে কাজ করছে সরকার। সামাজিক ওই স্থিতিশীলতার জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমি সরকারে সাময়িক আছি, তবে রাজনীতিতে আছি দীর্ঘদিন ধরে। বহুমাত্রিক চিন্তা ও চেতনা নিয়ে কাজ করছি। সবার স্থান আওয়ামী লীগে। মাঝে মাঝে হুমকির সম্মুখীন হয়ে থাকি। মানুষ জাতির জন্য কাজ করছে শেখ হাসিনা। আমাদের করণীয় সম্পর্কে দুর্বলকে সমানস্থলে নিয়ে আসতে হবে। এটা না হলে সবাই হুমকির সম্মুখীন হবে। সামাজিক ঐক্য দরকার। আসাদের দৃষ্টির প্রসার দরকার।

সংগঠনের মাধ্যমে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন- এমজেএফ সারাদেশের প্রায় ৩০ লাখ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা। তাদের দাবি, সংস্থাটির মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ মানুষ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবা ও সুবিধা পেয়েছেন।

দারিদ্র্যকে জয় করেছেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। ৮৫ হাজার প্রান্তিক শিশু শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। ৫০ হাজার মেয়ে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা ছাড়াও প্রায় ৪ লাখ শ্রমিকের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত হয়েছে। সংস্থার অধীনে প্রায় ৮৩ হাজার তরুণ-তরুণী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যাত্রা অবশ্য একটু ভিন্নভাবে; ইউকেএইডের সহায়তায় ২০০২ সালে ‘কেয়ার’-এর একটি প্রকল্প ‘মানুষের জন্য’ হিসেবে। তবে ২০০৬ সালেই স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর উদ্যোক্তা ছিলেন মানুষের জন্য সংগঠনের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এরপর থেকে নেটওয়ার্ক গড়ার মধ্য দিয়ে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে মানবাধিকার এবং সুশাসন নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

ফাউন্ডেশনের জন্য ফাউন্ডেশনের ২০ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংঘতি প্রকাশ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, দুর্নীতি বিরোধী আর্ন্তজাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.