যেভাবে চিনবেন নকল ডিম! (ভিডিও)
শেয়ারবাজার ডেস্ক: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। অনেকে এটাকে জোকস বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস, মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং ও দেশের কয়েকটি জাতীয় নিউজ পোর্টালসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চীনের রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস মুরগির ডিমের মতো। আর রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে নকল ডিম। দামে কম হওয়ায় বেশি লাভের আশায় পাইকারি হারে নিয়মিতই এই ডিম দোকানে তুলছেন দোকানিরা।
জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম।’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুন ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
আসলে প্রযুক্তি কিংবা বিজ্ঞান এর আদলে আমাদের জন জীবন আজ অনেক টাই সহজ, চাইলে হাত বাড়িয়ে পাই ইচ্ছের রঙ্গিন ঘুড়ি, সপ্নের বাস্তবতা হাতের মুঠোয় কিন্তু সব কিছুর ই এপিঠ ওপিঠ আছে বৈকি, আর সেই ভয়ংকর ওপিঠের আদলেই জন্ম নিয়েছে নকল বা কৃত্রিম ডিম, আমরা সবাই কম বেশি নকল বা কৃত্রিম ডিমের কথা শুনেছি, শুরুতে অনেকটা বিস্ময় থাকলে ও এখন মোটামুটি সবাই ই জানি।
প্রথম প্রথম অনেকেই বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও এখন আর সেটা গুজবের পর্যায়ে নেই। কেননা খোদ বাংলাদেশেই নকল ডিম কেনার ও খাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকের হয়েছে।
মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ ওই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চিন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হচ্ছে। চোরাপথে সেই ডিম ভারত-সহ আশপাশের অন্যান্য দেশেও ছয়লাপ হয়েছে নকল ডিমে।
চিনে তৈরি হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এই ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ।
নকল ডিম চেনার কয়েকটি কার্যকরী টিপসঃ
১. কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড়।
২. এই ডিম সিদ্ধ করলে কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়।
৩. ভাঙার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
৪. কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। এর খোসা অল্প চাপেই ভেঙে যায়।
৫. এর খোলস খুব মসৃণ হয়। খোসায় প্রায়ই বিন্দু বিন্দু ফুটকি দাগ দেখা যায়।
৬. রান্না করার পর এই ডিমে অনেক সম্যেই বাজে গন্ধ হয়। কিংবা গন্ধ ছাড়া
থাকে। আসল কুসুমের গন্ধ পাওয়া যায় না।
৭. নকল ডিমকে যদি আপনি সাবান বা অন্য কোন তীব্র গন্ধ যুক্ত বস্তুর সাথে রাখেন, ডিমের মাঝে সেই গন্ধ ঢুকে যায়। রান্নার পরেও ডিম থেকে সাবানের গন্ধই পেতে থাকবেন।
৮. নকল ডিমের আরেকটি উল্লেখ্য যোগ্য লক্ষণ হলো ডিম দিয়ে তৈরি খাবারে এটা ডিমের কাজ করে না। যেমন পুডিং বা কাবাবে ডিম দিলেন বাইনডার হিসাবে। কিন্তু রান্নার পর দেখবেন কাবাব ফেটে যাবে, পুডিং জমবে না।
১০. নকল ডিমের আকৃতি অন্য ডিমের তুলনায় তুলনামূলক লম্বাটে ধরণের হয়ে থাকে।
১১. নকল ডিমের কুসুমের চারপাশে রাসায়নিকের পর্দা থাকে বিধায় কাঁচা কিংবা রান্না অবস্থাতে কুসুম সহজে ভাঙতে চায় না।
https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=XfGsLle6t9Q
শেয়ারবাজারনিউজ/অ