আজ: শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ইউনাইটেড এয়ারের কারসাজি খুঁজতে তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ারের কারসাজি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক ওহিদুল ইসলামকে। কমিটির অন্য চারজন সদস্য হলেন বিএসইসির দুই উপপরিচালক শাহারিয়ার পারভেজ ও মো. শাহনেওয়াজ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন প্রতিনিধি এবং আরেকজন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ ‍সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইস) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

গত ২৬ জুলাই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এই কারসাজি খতিয়ে দেখতে বিএসইসকে একটি চিঠি দিয়েছিল।

সেই চিঠির পরিপেক্ষিতে বিএসইসি এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তদন্ত কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে- কী কারণে ইউনাইটেড এয়ারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া তদন্ত কমিটিকে ইউনাইটেড এয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পরে এর শেয়ারের লেনদেন নিয়ে কোনো কারসাজি হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ার পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরে অপেক্ষায় আছে।

তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি কোম্পানিটির আর্থিক অসংগতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

কোম্পানিটির আগের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আছে। তদন্ত কমিটি সেই বিষয়টি দেখবে। এ ছাড়া আগের পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে কারসাজি করে ইচ্ছাকৃতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত করেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০০৭ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে তারা দেশের অভ্যন্তরে সেবা দেয়া শুরু করে। পরে দেশের বাইরেও সেবা দিচ্ছিল। ২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠিানটি।

২০১৪ সালে কোম্পানির পরিচালকদের ভেতরে সমস্যার কারণে প্রথমবারের মতো ইউনাইটেড এয়ারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে আবার চালু হলেও ২০১৬ সালে এর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২০২১ সালে ইউনাইটেড এয়ারকে বাংলাদেশের মূল পুঁজিবাজার থেকে ওটিসি মার্কেটে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এখন এই শেয়ারকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের জন্য রাখা হয়েছে।

গত বছর এয়ারলাইনটিকে পুনর্জীবিত করতে বিএসইসি আটজন অভিজ্ঞ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে।

কোম্পানিটির মূল মালিক ক্যাপ্টেন তাসারুল আহমেদ চৌধুরী বিদেশে পলাতক। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৪ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এয়ারলাইনটি পুনর্জীবিত করার কাজ করছে।

ওটিসি মার্কেটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ার ১ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। এই শেয়ারটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।

পুঁজিবাজারে এই কোম্পানির ৮২ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮০টি শেয়ার আছে।

এর মধ্যে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৮৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।

ইউনাইটেড এয়ারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮২৮ কোটি ১০ লাখ । বাজার মূলধন ১৬৬ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ওটিসি মার্কেট হচ্ছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট। অর্থাৎ পুঁজিবাজারের মূল বাজারের বাইরের একটি মার্কেট। এই মার্কেটে একেবারে মন্দ কোম্পানির শেয়ারগুলো লেনদেন হয়।

১ টি মতামত “ইউনাইটেড এয়ারের কারসাজি খুঁজতে তদন্ত কমিটি”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.