আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি: জাকার্তায় বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক :জাকার্তায় এক সম্মেলনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন “আমরা ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি”। জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি অপশনগুলো আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ৬-৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) কর্তৃক আয়োজিত ‘SOUTH SOUTH EXCHANGE: Integrating gender equality and social inclusion in climate budgeting and planning processes and innovative climate finance in the Asia-Pacific Region’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ইউএনডিপির ক্লাইমেট ফাইনেন্স নেটওয়ার্ক এবং UNWOMEN -এর উদ্যোগে সম্মেলনটি আয়োজনে সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকারের ‘Ministry of Women’s Empowerment and Child Protection’ ও ‘Ministry of Finance ।

এই সম্মেলনে ইউএনডিপির আমন্ত্রণে বিএসইসির চেয়ারম্যান অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার অর্গানইজেশনগুলো ও সিভিল সোসাইটি অর্গানইজেশনগুলোসহ এ অঞ্চলের ১০ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিজি ও কম্বোডিয়া নিজ নিজ প্রেক্ষিত থেকে জলবায়ু ও লিঙ্গসমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেটিং এবং জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব সমন্বিত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তুলে ধরে।

সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ‘Impact of Climate Change and Inclusive Financing : Perspective Bangladesh’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ।

দেশের বর্তমান জলবায়ু এবং বর্তমান বিশ্বমন্দা, জলবায়ু অর্থায়নের কার্যক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সাথে ইউরোপ-আমেরিকাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা থেকেই বোঝা যায় প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী। মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ড, জীবাশ্ম জ্বালানীর অত্যাধিক ব্যবহার, বন ধ্বংস, পানিসম্পদ বিনষ্টসহ নানাভাবে প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং প্রকৃতি এসব থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সপ্তম মোস্ট ভালনারেবল দেশ এবং বাংলাদেশকে বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্রে পৃষ্ঠা থেকে মাত্র ১৫ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন অথবা হওয়ার শঙ্কায় আছেন। মাটির লবণাক্ততা এবং পানির অভাবসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি এবং অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট পলিসি সমূহ যেমন ১৯৯৫ এর পরিবেশ রক্ষা আইন, ২০১০ এর জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বৈদেশিক এবং নিজস্ব অর্থ সহায়তায় সম্পাদিত কার্যক্রমগুলো এবং এর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাসমূহ ব্যাখ্যা করেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.