শহীদ মিনারে সাজেদা চৌধুরীকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ শহীদ মিনারের সামনে নিয়ে গেলে সেখানে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ১৪ দলীয় জোট, সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুণীজনরা তাকে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া দলীয় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় অধ্যায়জুড়ে সাজেদা চৌধুরী রয়েছে। এর মধ্যে স্বাধীকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল। রণাঙ্গনেও তিনি ছিলেন সৈনিক। প্রতিটি সংকটে তিনি ছিলেন। অনেকেই জানে না, তিনি কারাগারেও ছিলেন। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দলের দুঃসময়ে সাজেদা চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। পঁচাত্তরের পর দলকে সংগঠিত করার জন্য তিনি কাজ করেছেন। ’৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দলের সভাপতি হয়েছেন তখন সাজেদা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছায়ার মতো ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-৮ সালে যখন অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তখন নেত্রীর পাশে ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলেও সাজেদা চৌধুরী থাকবেন। তার এ বিদায় আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। দেশ একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েছে।
১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। নেত্রীর জন্য জেল খেটেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তার মৃত্যুতে একজন বিশ্বস্ত, পরীক্ষিত ও ভালো সংগঠককে হারিয়েছি।