সারাদেশে মাশরুম চাষের উদ্যোগ, ব্যয় ৯৮ কোটি টাকা
পুষ্টি চাহিদা মেটানো ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সারাদেশে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ করবে সরকার। এ কাজে ৯৮ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার যেসব উপজেলায় মাশরুম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে এমন ১৬০টি উপজেলা ও ১৫টি মেট্রোপলিটন থানায় ‘মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত হন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
বিভিন্ন প্রকার মাশরুমের ২৫ টি জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে চাষ ও সংরক্ষণ উপযোগী ২০টি টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে। উচ্চ মানসম্পন্ন মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণ, ৮০০ জন মাশরুম শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম
৯৫টি ছাদ প্রদর্শনী, ৮০০ টি স্পন ও মাশরুম উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন, ৬০০ বর্গমিটার ডরমিটরি ভবন এক্সটেনশন, ৪৫০ বর্গমিটার ল্যাবরেটরি কাম অফিস ভবন এক্সটেনশন, ৯৫০ বর্গমিটার ওয়ার্কশপ কাম ল্যাবরেটরি ভবন, ১টি ইনকিউবেশন রুম, ৩৫টি ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিট নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া ৫০০ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ২৭ ব্যাচ উদ্যোক্তা, ৮০০ ব্যাচ দলভুক্ত চাষি, ১০০ ব্যাচ ছাদ বাগানি, ৮০০ ব্যাচ রিফ্রেসার, ২৯ ব্যাচ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা, ৭ ব্যাচ প্রশিক্ষক, ৯ ব্যাচ সিনিয়র কর্মকতা, ৬ ব্যাচ জিও-এনজিও কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মাশরুম একটি পুষ্টিকর , সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবার। যা চাষের জন্য আবাদি জমি প্রয়োজন হয় না। হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং উচ্চবিত্ত জনগণের কাছে মাশরুমের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের মাশরুম সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।