চলতি অর্থবছরের (জুলাই-আগস্ট)
ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ
নিজস্ব পপ্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দেশভিত্তিক রপ্তানির পরিসংখ্যান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, জুলাই-আগস্ট এ দুই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইউরোপের বাজারে মধ্যে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। স্পেনের বাজারে ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ফ্রান্সের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়াও ইইউর অন্যান্য দেশেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইউরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত দুই মাসে ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরি আসা যুক্তরাজ্যে পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। কানাডায় আরএমজি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮দশমিক ৪৯ শতাংশ।
একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ ১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের পৌঁছেছে।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ আর ভারতে রপ্তানি বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে এ সময়ে রাশিয়া ও চীনে রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ২৯ এবং ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে রপ্তানি বেড়েছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি খুচরা ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে। এ কারণে আগামী মাস থেকে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ বেশ কয়েকটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড বিক্রয় এবং অবিক্রীত স্টক হ্রাসে ভুগছে, তাই তারা এখন অর্ডার এবং উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই শিল্পটি সামনে আরেকটি অশান্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।