ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে রপ্তানি আয় দেড় বিলিয়ন ডলার: পলক
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইন্টারনেটের শক্তি আর তারুণ্যের মেধাকে একত্রিত করে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
‘নাটোরের বাগাতিপাড়ার ফয়সাল নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কয়েকশ তরুণ-তরুণীকে ফ্রিল্যান্সার বানিয়ে তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছেন। তার মতো সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার দেশকে দেড় বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় এনে দিয়েছেন।’
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভ্যান্সড রিসার্স ইন আর্টস অ্যান্ড সোশাল সাইন্স (কারাস) মিলনায়তনে ঢাবির নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আগামী অর্থবছরে ঢাবির সবকটি হলে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হবে বলে জানান।
এসব উপহারের মাধ্যমে ঢাবির শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট থাকলেই ঘরে বসে ডলার আয় করা যায়। এজন্য প্রতিবছর আমি ছাত্রকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ন্যূনতম অস্বচ্ছল মেধাবী সাতজনকে একটি করে ল্যাপটপ ও দুজন শিক্ষার্থীকে ২৪ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দেবো।
পলক বলেন, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোলা জেলার চর কুকরি-মুকরিতে যখন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন, তখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬ লাখ।
‘প্রতিমাসে এক কোটি মানুষ এসব সেন্টার থেকে সেবা নিচ্ছেন। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছেন। এটাই হলো শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ইন্টারনেটের কল্যাণে সরকারের কাজে কেউ অসন্তুষ্ট হলে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পারেন। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
৬৪ জেলায় তিন মাসের সার্টিফেকেট কোর্সসহ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। ১১শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৯৬টি উপজেলা ও জেলাসদরসহ ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সেন্টার করা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে ২৪৩টি উপজেলার মধ্যে নাটোরেরই রয়েছে সাতটি উপজেলা। শিগগিরই এগুলোর কাজ শুরু হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের যে সুযোগ করে দিয়েছেন তা কাজে লাগাতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
ঢাবির নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি সাব্বির সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি প্রমুখ।