আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার |

kidarkar

করোনার প্রাদুর্ভাব এখনও শেষ হয়নি, টিকাদান অব্যাহত রাখা জরুরি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা জরুরি।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ‘কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জোরদারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের একত্রিত করার প্রয়াসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো এবং বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে মন্ত্রী পর্যায়ের এ সভার আয়োজন করেন।

জাপান, থাইল্যান্ড, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ ও সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন।

এ সময় মোমেন বলেন, সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবনরক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতি ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রণোদনার মাধ্যমে অতিমারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা। কোভিড ব্যবস্থাপনায় অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।

টিকা ও অন্যান্য কোভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত ‘অ্যাক্ট-এ  এবং কোভ্যাক্স’ এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপাক্ষিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন।

সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সংবলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে করোনা মোকাবিলায় কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ছয়টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোচনা করা হয়।

এছাড়া মহামারি চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপগুলো নিতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরও উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.