১৭-১৯ নভেম্বর হজ ও ওমরাহ মেলা
আগামী হজে পূর্ণ কোটা পেতে পারে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামী হজে বাংলাদেশ পূর্ণ কোটা পেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে হাব কার্যালয়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নবনির্বাচিত নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তসলিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে হজযাত্রীর কোটা রয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। আশা করছি, কোভিড মহামারী পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় আগামী হজে বাংলাদেশ পূর্ণ কোটা পাবে এবং আরো ৫ থেকে ১০ হাজার বেশি হজযাত্রীর কোটার জন্য সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।
আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে হজচুক্তি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, হজচুক্তির আগে কোনো কিছুই চূড়ান্ত বলা যায় না। কারণ এটি সম্পূর্ণ সৌদি সরকারের এখতিয়ার। তারা যেটি নির্ধারণ করে দেবেন সেটিই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হয়। চুক্তির ওপর নির্ভর করছে আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে কত জন হজযাত্রী যেতে পারবেন। বয়সসীমা কত হবে, খরচ কত হবে। এজন্য ৬৫ বছর বয়সোর্ধ নারী-পুরুষ হজ করতে পারবেন কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আগামী ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হাবের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হজ ও ওমরাহ মেলা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ হাজী প্রেরণকারী দেশ। হজ অনুষ্ঠানের অধিকাংশ বিষয়ে আইটি-নির্ভরতা এবং হজ অনুষ্ঠানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য অনেকাংশে পরিবর্তন হওয়ায় হজের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হজযাত্রীসহ বিভিন্ন এজেন্সিকে অবহিত করা প্রয়োজন। এ কারণে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সেমিনার থাকবে মেলায়। এ আয়োজনে সেমিনার ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রর্দশন করা হবে।
হাব সভাপতি আরো বলেন, মেলায় হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর সাথে হজ ও ওমরাহযাত্রীদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে। হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় আইটি-নির্ভরতা অতীতের চেয়ে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকে বাংলাদেশ ও সৌদি পর্বের আইটি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
মতবিনিময়কালে হাব মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, সহ সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, আরআরএফ সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আহমেদ, আরআরএফ নেতা এম শামসুল ইসলাম, মহসিনুল করিম লেবু, মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, রকীবুল হক, শামসুল আরেফিন, মিয়া হোসেন, চৌধুরী আকবর হোসেন, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, বাহারাম খান, খালিদ সাইফুল্লাহ, আহমেদ জামাল, সাইদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম আনসারী, আকতার হাবিব ও এসএম মিজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।