বিএসইসি-আইএমএফ এর মধ্যে রুটিন সভা, ফ্লোর নিয়ে এজেন্ডা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর প্রতিনিধি দল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক বা সভা করবে। যা তারা যতবার আসে, ততবারই করে। এবারও আগের ন্যায় রুটিন সভা করবে। এতে শেয়ারবাজারের ফ্লোর প্রাইস (দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা) নিয়ে কোন এজেন্ডা নেই।
শেয়ারবাজারে অনাকাঙ্খিত মন্দাবস্থায় বিএসইসি গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছে। যা ৩১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়ে বর্তমানেও বলবৎ রয়েছে। যাতে করে অনেক বিনিয়োগকারী লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ২ শতাধিক কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইসের কারনে ক্রেতা নেই। এতে করে অনেকে প্রয়োজন সত্ত্বেও বিক্রি করতে পারছেন না।
এ অবস্থায় মাঝেমধ্যেই দু-একজন বাজার সংশ্লিষ্ট ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার দাবি জানান। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। যা তুলে বাজারে বড় পতন হবে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়। এ কারনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছে না।
এরইমধ্যে আগামি ৭ নভেম্বর বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভায় আইএমএফ প্রতিনিধি দল বিএসইসিকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধি দল মূলত বাংলাদেশের ফাইন্যান্সিয়াল বিভিন্ন ইস্যুতে মূল্যায়ন করতে এসেছে। আর তারা যখন বাংলাদেশে আসে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিএসইসি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে। এবারও তারা করবে। এটা রুটিন বা নিয়মিত মিটিং। এখানে শেয়ারবাজারের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে কোন এজেন্ডা নেই। তেব কেউ কেউ না জেনেই আইএমএফ ফ্লোর তুলে দেওয়ার দাবি জানাবে বলে গুজব তুলেছে।
একই বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধি দল বিএসইসির সঙ্গে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে আলোচনা করবে, এমন কোন এজেন্ডার খবর আমরা পাইনি। অথচ এ জাতীয় খবর গণমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। যা শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।