বসছে ৩ লাখ ভ্যাট মেশিন, রাজস্ব বাড়বে কয়েক গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো, ফাঁকি কমানো এবং ডিজিটালি ট্যাক্স সংগ্রহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহের জন্য ৩ লাখ মেশিন বসাবে কোম্পানিটি।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন খুচরা দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) এবং সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) বা ভ্যাট সংগ্রহকারী মেশিন সরবরাহ ও ইনস্টল করবে জেনেক্স।
বৃহস্পতিবার এনবিআরের রাজস্ব ভবন সেগুনবাগিচায় আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
জানা যায়, পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন, ঢাকার বাইরে উত্তর ও পশ্চিম এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস এরিয়া-এ তিনটি জোনে ৩ লাখ মেশিন স্থাপন করবে জেনেক্স। প্রতিটি জোনে ১ লাখ করে মেশিন বসবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করে বলেন, “ইএফডি এবং এসডিসি সফলভাবে স্থাপন করা গেলে রাজস্ব আদায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।”
রাজস্ব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশে সিটি কর্পোরেশন বা জেলা শহর (পৌরসভায়) অবস্থিত দোকানগুলোতে ভ্যাট মেশিনগুলো স্থাপন করা হবে। নিজস্ব খরচে মেশিন সরবরাহ ও ইনস্টল করবে কোম্পানিটি। বিপরীতে ০.৫২-০.৫৩৮ শতাংশ পরিষেবা চার্জ হিসাবে পাবে।
এছাড়াও ইএফডি ব্যবহারের উপর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে জেনেক্স।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ঢাকার পাঁচটি ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্ব) এবং চট্টগ্রাম ৭,৮৩২টি ইএফডি এবং এসডিসির মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ করে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক ভার্চুয়াল সভায় ভ্যাট সংগ্রহের জন্য জেনেক্স ইনফোসিসকে নির্বাচিত করেছিল মন্ত্রিসভা কমিটি অন গভর্নমেন্ট পারচেজ (ইসিজিপি)। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় সিসিজিপি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভ্যাট সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট প্রথম ইএফডি মেশিন স্থাপন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এরপর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাট চালান সম্পর্কে গ্রাহকদের উৎসাহিত ও সচেতন করতে ইএফডি লটারি সিস্টেম চালু করা হয়।
a very good decision. but the retailers must be made comfotable throught trouble free process, so that they can pay vat. pilferage must have to be checked through controling dishonest vat workers. if fearfree atmosphere is created then vat collection easily will increase.