রিটার্ন দাখিলে আরও ২ মাস সময় চায় ৬৭ কর সমিতি
নিজস্ব প্রতিবেদক :২০২২-২০২৩ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে পাওয়ায় ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়ানোর আবেদন করেছে দেশের ৬৭টি কর আইনজীবী সমিতি। আর সমিতিগুলোর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে তাদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনগুলো বলছে, অর্থনৈতিক মন্দা ছাড়াও এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রচারণায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে ৮০ লাখের বেশি ই-টিআইএনধারী হলেও রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা অনেক কম।
তাই করদাতাদের রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সময় দুই মাস বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যান ও আয়কর বিভাগের সদস্য বরাবর ওই আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. খোরশেদ আলম বলেন, ২০২২-২০২৩ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে পাওয়ায় ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কথা চিন্তা করে করাদাতাদের আরও সুযোগ দেওয়া উচিত। অনেক করদাতা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেনি। তাছাড়া এবার আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। শুধু আমরা নই, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনও সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে বলে জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ দাবিসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে শিগগিরই এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করবো। আশা করছি করদাতাদের দাবি মেনে নেবে এনবিআর।
সমিতিগুলোর চিঠির সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ও ফার্মগুলোর ক্ষেত্রে ২০২২-২০২৩ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ২০২২-২০২৩ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে পাওয়ায়, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সব পেশার করদাতাদের পক্ষে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সারাদেশের ৬৭টি আয়কর আইনজীবী সমিতি থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বৃদ্ধির জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় সংগঠন “বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন” এর কাছে জোর দাবি জানিয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের নেওয়া নীতিমালা অনুসরণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও সর্বোপরি করদাতাদের সুবিধার্থে জরিমানা ছাড়া ২০২২-২০২৩ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ও ফার্মগুলোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পর আরো দুই মাস বাড়ানো প্রয়োজন।