আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ নভেম্বর ২০২২, বুধবার |

kidarkar

চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিয়ানআনমেন স্কয়ার বিক্ষোভের পর ক্ষমতায় আসা চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন মারা গেছেন। বুধবার ৯৬ বছর বয়সে চীনের সাবেক এই নেতা মারা গেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ১৩ মিনিটে মারা গেছেন জিয়াং। দীর্ঘদিন ধরে প্রাণঘাতী লিউকেমিয়াসহ একাধিক জটিল রোগে ভোগার পর সাংহাই শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি, সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং সামরিক বাহিনী সাবেক এই নেতার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে চীনা জনগণের কাছে একটি চিঠি প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘কমরেড জিয়াং জেমিনের মৃত্যু আমাদের পার্টি, সামরিক বাহিনী এবং আমাদের সব  জাতিগোষ্ঠীর জনগণের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’

এতে জিয়াং জেমিনকে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন একজন অসামান্য নেতা, মহান মার্কসবাদী, রাষ্ট্রনায়ক, সমর কৌশলবিদ, কূটনীতিক এবং দীর্ঘ পরীক্ষিত কমিউনিস্ট যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়াং জেমিনের মৃত্যুতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান অফিস, সরকারি বিভিন্ন ভবন ও বিশ্বজুড়ে চীনা দূতাবাস ও কনস্যুলেটে চীনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলছে, জিয়াংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা কমিটির এই আদেশ বুধবার থেকে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। তবে দেশটির সাবেক এই নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ এখনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর রক্তাক্ত তিয়ানআনমেন অভিযানের কিছুদিন পর জিয়াংকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনার পর চীনকে পরবর্তী কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক মেরামত এবং নজিরবিহীন অর্থনৈতিক উত্থানের তত্ত্বাবধান করেন তিনি।

ইতিহাস সৃষ্টিকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে চীনকে দেখেছেন জিয়াং; যার মধ্যে রয়েছে বাজার-ভিত্তিক সংস্কার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন, ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তন এবং ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) বেইজিংয়ের প্রবেশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.