আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

চার প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের তদন্ত চান ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপসহ পৃথক চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় অর্থ পাচার হয়েছে কি না, সে বিষয়ে দুদক ও বিএফআইইউ’র তদন্ত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তিন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ আবেদন করেছেন ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ ৫ জন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান কর্মকর্তার কাছে এ আবেদন করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

আবেদনে তারা বলেন, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেডের নিয়মিত গ্রাহক। ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে থাকি। সূত্রে উল্লেখিত পত্রিকার রিপোর্টে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ম বহির্ভূত লেনদেন প্রতিভাত হয়েছে। জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান, নামসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে।

ব্যাংকের কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী ও সুধীজনের ভাষ্যমতে রিপোর্টে উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত অসাধু লেনদেনের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

স্বীকৃত মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। এ ধরনের অসাধু লেনদেন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহকসহ জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত উম্মা প্রকাশ করেছেন অতীতের ঘটনা নিয়ে।

এতে বলা হয়, প্রথম আলো পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুযায়ী নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত দুই হাজার চারশত ষাট কোটি টাকা, NEWAGE -এর রিপোর্ট অনুয়ায়ী, এস আলম গ্রুপ একাই ত্রিশ হাজার কোটি টাকা, The Business Standard -এর রিপোর্ট অনুযায়ী MediGreen এক হাজার কোটি টাকা ও SS Straight Line নয়শ কোটি টাকা নিয়মবর্হিভূত লেনদেন করেছে।

আবেদনকারী অন্যরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লা সাদিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী যায়েদ বিন আমজাদ ও অপর শিক্ষার্থী শায়খুল ইসলাম ইমরান।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.