আজ: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ইং, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

কানাডাকে হারিয়েই বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে মরক্কো

স্পোর্টস ডেস্ক: মরক্কোর সামনে হিসাব ছিল পরিষ্কার; শেষ ষোলতে যেতে কানাডার বিপক্ষে জিততেই হবে। ড্র বা হার তাদের ফেলে দিতো অনিশ্চয়তায়। সমীকরণ মিলিয়েই কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে উঠে গেছে মরক্কো।

বৃহস্পতিবার কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মরক্কো ২-১ গোলে কানাডাকে হারিয়েছে। এই জয়ে ‘এফ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে উঠে গেলো আফ্রিকার দেশটি। তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে।

প্রথমার্ধে মরক্কোর প্রাধান্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ছিল কানাডার। গোল শোধে মরিয়া কানাডা একের পর এক আক্রমণ করে মরক্কোর রক্ষণে। কিন্তু কাজের কাজটি তারা করতে পারেনি। প্রথমার্ধের এগিয়ে থাকাটা ধরে রেখেই ারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো। এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারাই গ্রুপসেরা। অন্য ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিায় নিয়েছে বেলজিয়াম।

৫৬ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল কানাডার সামনে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন লারিন। ডান দিক থেকে নেওয়া ফ্রিকিক লারিনের সামনে দিয়ে গেলেও তিনি বল-পায়ে সংযোগ ঘটাতে পারেনি।

৭১ মিনিটে আটিবা হাচিনসনের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয় কানাডার।

প্রথমার্ধে এক প্রাধান্য নিয়ে খেলে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড নেয় মরক্কো। একটি আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে কানাডার গোলরক্ষ বক্সের বাইরে গিয়ে ভুল পাস দেন। বল পেয়ে যান হাকিম জিয়েচ। তখন ফাঁকা কানাডার গোলপোস্ট। সেখান থেকে হাকিম জিয়েচ বল পোস্টে মারেন গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে। বল জালে জড়ানো খো ছাড়া আর কিছু করার ছিল না কানাডার রক্ষণের খেলোয়াড়দের ও গোলরক্ষকের।

১১ মিনিট পরই গোলটি ফিরিয়ে দেওয়া চমৎকার সুযোগ এসেছিল কানাডার। ডান দিক থেকে ডিফেন্সচেরা ক্রস ফেলেছিলেন কাইল নারিন। বলটি টাওন বুখানানের সামনে দিয়ে গেলেও পা লাগাতে পারেনি। তখন তার সামনে ছিল শুধুই গোলরক্ষক।

কানাডা ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি মরক্কো। ২৩ মিনিটে ইউসেফ নেসারির শট কানাডার গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।

কানাডা ব্যবধান কমিয়েছে ৪০ মিনিটে। তাও মরক্কোর আত্মঘাতী গোলে। বাম দিক থেকে কানাডার স্যামুয়েল আডোকুজবে যে শট নিয়েছিলেন তাতে পা চালিয়েছিলেন মরক্কোর ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ার্ড। বল গতি পরিবর্তন করে আশ্রয় নেয় জালে। এটি এই বিশ্বকাপের প্রথম আত্মঘাতি গোল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.