আজ: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার |

kidarkar

নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থকর মাটি- কৃষি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা মাটির সঠিক ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দুর্বল ভূমিকা পালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। পাশাপাশি তিনি দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কারিকুলাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহার করছেন, সেটার জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্য ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবে না। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সবকিছুর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সেদিক থেকে আমাদের বিজ্ঞানীরা খুবই দুর্বল।
কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের আরও গবেষণার প্রয়োজন। নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্য মাটির কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে সে ধারণা নিন। কয়েক বছর আগে নতুন প্রযুক্তি ভার্মিকম্পোস্ট এসেছে। আমি অনেক বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেছি এতে নাইট্রোজেনের মাত্রা কত? তারা জানেন না। সেটা দুঃখজনক। আপনাদের উঁচু মানের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যারা কৃষিবিদ হয়ে উঠছেন তাদের জন্য দুর্বলতা রয়েছে। মাঠের সঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাতে-কলমে শিক্ষা নিতে হবে।
দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, এত বড় বড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু একটিরও পোল্ট্রি খামার নেই। ডেইরি ফার্ম নেই। তারা শিখবে কীভাবে? কিন্তু বেসরকারি খাত কত বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা কীভাবে সহায়তা দেবে।
কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। তাদের কারিকুলাম দিন। কীভাবে পড়ানো উচিত।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরির প্রতি বেশি আকৃষ্ট- এতে হতাশা প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই বিসিএসের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি নোট পড়ে কোনোভাবে ডিগ্রি নিয়ে আসছে তারা। আমি বলছি না সবাই সেটা করছে। তবে অধিকাংশরা সেটা করছে। সবাই সরকারি চাকরি নিতে ব্যস্ত। মানে মাস গেলেই বেতন। তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। কোনো কাজ নেই। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করি। অন্য সম্পদ আমাদের নাই। এখনো অনেক খাদ্য বিদেশ থেকে আনি। সবকিছু অনেক চ্যালেঞ্জ। সত্যিকার অর্থে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিষয় অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.