আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ওয়ালটন’র নতুন পণ্য ইলেকট্রিক বাইক প্রতি কিলোতে ব্যয় হবে ১০-১৫ পয়সা

শাহ আলন নূর : দেশের বাজারে ইলেকট্রিক বাইক বা স্কুটার নিয়ে এসেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। নতুন এই পণ্যের ব্র্যান্ড নাম তাকিওন। এটি দুটি মডেল বা সংস্করণে বাজারে ইতোমধ্যে ছাড়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইতোমধ্যে তারা বাইকটি বাজারে ছেড়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন বাইকের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। আর এই বাইক হবে পরিবহন খরচ সাশ্রয়ী। প্রতি কিলোমিটার পথ চলতে ব্যয় হবে মাত্র ১০ থেকে ১৫ পয়সা।

সাম্প্রতিক সময়ে এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বলেন, বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক যানের জনপ্রিয়তা এখনো তেমন উচ্চপর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের যানবাহনের জনপ্রিয়তা অনেক। বাংলাদেশে অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনা না থাকায় বৈদ্যুতিক যানবাহনে কেউ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করতে পারেন না।

তিনি বলেন, ‘তাকিওনের মাধ্যমে আমরা দেশের গ্রাহকদের ইলেকট্রিক যানবাহনে অভ্যস্ত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুততম সময়ে ব্যাটারি চার্জের জন্য ফাস্ট চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা আছে।’

ওয়ালটন জানায়, তাকিওন ১.০০ মডেলে শক্তিশালী ১ দশমিক ২ কিলোওয়াট হাব মোটর ও নতুন প্রযুক্তির গ্রাফিন লেড অ্যাসিড ব্যাটারি ব্যবহার করা হবে। একবার পুরো চার্জে এই বাইক ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার চলবে। গতিবেগ হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার। অপর দিকে তাকিওন ১.২০ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ মোটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘বশ’–এর মোটর। এর পোর্টেবল লিথিয়াম ব্যাটারির ওজন মাত্র ৯ কেজি। ফলে এটি খুব সহজেই বহনযোগ্য। বাইকটি একবার পুরো চার্জে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার।
ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুততম সময়ে ব্যাটারি চার্জের জন্য ফাস্ট চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা আছে।

তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকে থাকবে পোর্টেবল চার্জার। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই এ বাইকে চার্জ দেওয়া যাবে। ওয়ালটনের দাবি, এই বাইকের পারদর্শীতা প্রচলিত ১০০ সিসি (ইঞ্জিনক্ষমতা) বাইকের সমতুল্য। দুই মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে ডুয়াল হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, টিউবলেস টায়ার, এলসিডি স্পিডোমিটার ও এলইডি লাইটিং। ওয়ালটনের নির্ধারিত সার্ভিস পয়েন্ট থেকে তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকের দুই বছর পর্যন্ত বিনা মূল্যে বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে।

তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকের পণ্য ব্যবস্থাপক (প্রোডাক্ট ম্যানেজার) কায়কোবাদ সিদ্দিকী বলেন, দুই মডেলের নকশাই অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ওয়ালটনের দাবি, তাকিওন ই-বাইক একবার পুরো চার্জ দিতে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ পড়বে মাত্র সাত-আট টাকা। বর্তমানে এক লিটার অকটেনের বাজার মূল্য ১৩০ টাকা, যা দিয়ে একটি ১০০ সিসি বাইক সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। এর মানে হলো পেট্রলচালিত বাইকে খরচ অনেক বেশি। বৈদ্যুতিক যান পরিবেশদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত।

২০২০ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বৈদ্যুতিক যান নিবন্ধনের নীতিমালা জারি করে। ফলে তাকিওন ইলেকট্রিক বাইক নিবন্ধনে কোনো জটিলতা বা সংশয় থাকবে না বলে মনে করছে ওয়ালটন
কর্তৃপক্ষ।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী লিখিত বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ পৃথিবী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ওয়ালটন নানা কার্যক্রম নিচ্ছে।

২ উত্তর “ওয়ালটন’র নতুন পণ্য ইলেকট্রিক বাইক প্রতি কিলোতে ব্যয় হবে ১০-১৫ পয়সা”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.