আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার |

kidarkar

দেশে পুরুষদের ফুসফুস, নারীদের স্তন ক্যান্সার বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে ক্যান্সার রোগীর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। অধিকাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে। তারপরও যেসব রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে তাদের মধ্যে পুরুষদের ফুসফুস এবং নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।

রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা প্রায় ৩৬ হাজার রোগীর ডায়াগনোসিস করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এই সময়ে ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন নতুন রোগী আসলেও ডায়াগনসিস হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৩৩ জনের। এতে ৪২ দশমিক ৬ শতাংশের ক্যান্সার শনাক্ত হয়।

বুধবার সকালে রাজধানীর ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অডিটোরিয়াম ভবনে সপ্তম ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ইনস্টিটিউটের এপিডেমোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদন তথ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জাতীয়ভাবে একবার জনসংখ্যা ভিত্তিক গবেষণা করেছিল, এরপর আর হয়নি। নতুন করে করার আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এটি হওয়া জরিরি। কিন্তু তার জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একটি গবেষণা মানে রোগীর ডায়াগনোসিস থেকে শুরু করে তার অবস্থা কোন পর্যায়ে, কোথায় গিয়ে থামতে পারে সব লিপিবদ্ধ করা। যেটি অনেক বেশি কঠিন। কারণ, আমাদের ডায়াগনসিস ও সুযোগ-সুবিধার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের বিকল্প নেই জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, পরিবেশ ও খাদ্যাভাসও ক্যান্সারের বড় একটি কারণ। কয়েক বছর আগেও এটি নিয়ে কাজ করা অতটা সহজ ছিল না। চিকিৎসা ব্যবস্থাও ততটা উন্নত ছিল না। এখন পরিবর্তন হয়েছে। তবে এখনও অনেক ঘাটতি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ইনস্টিটিউট দরকার। নতুন করে আটটি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে, সেখানে হয়তো হবে। কিন্তু যারা করবে তাদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ধৃমপানসহ নানা অভ্যাসের কারণে নিজেরাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হচ্ছি কি-না ভেবে দেখা উচিত। পাশাপাশি এটি নিযন্ত্রণে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নীতি-নির্ধারকদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য ও কোনটি চিকিৎসা ছাড়া হবে না সেটি নির্ণয় করতে হবে। একই সঙ্গে পৃথক লিঙ্গ ও বয়সকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন বয়সে কোন ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সেটি দেখতে হবে।

শামিউল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ার বড় একটি কারণ ক্যান্সার। রাষ্ট্রের এই জায়গায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। মেডিকেল সায়েন্সেসে যেখানে প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি উন্নত হয়েছে, সেখানে এখনও আমরা পিছিয়ে। ডায়াগনোসিস করতে পারছি না। এটি কেন হবে?

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.