আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ফের ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ধার নিলো শরিয়াহ দুই ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (এনআরবি গ্লোবাল) গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও টাকা ধার করেছে। ব্যাংক দুটিকে তারল্য সহায়তা হিসেবে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক দুটি সুকুক বন্ড জমা রেখে এই অর্থসহায়তা নিয়েছে, যার মেয়াদ ১৪ দিন।

ঋণ অনিয়মের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর হঠাৎ তারল্য-সংকটে পড়েছে দেশের ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো। অনেক গ্রাহক এসব ব্যাংকে রাখা আমানত অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নিচ্ছেন। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংককে টাকা ধার দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য চালু করেছে তারল্য–সুবিধা। মূলত দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ইসলামি ব্যাংকগুলোকে এ সহায়তা দেওয়া হবে।

গত সোমবার নতুন সুবিধা চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটিরই মালিকানায় রয়েছে একই গ্রুপ। গতকাল বুধবার ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য–সুবিধা ব্যবস্থা থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ধার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, সুকুকের বিপরীতে প্রয়োজনমতো টাকা নিতে পারবে ইসলামি ব্যাংকগুলো।বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার নতুন যে তারল্য–সুবিধা চালু করেছে, তার আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো এখন ইসলামিক বিনিয়োগ বন্ড ও সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংক চেষ্টা করছে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা আদায় করার। তবে এসব অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হওয়ায় তা শিগগিরই ফেরত আসছে না। আবার অন্য ইসলামি ব্যাংকগুলোও তারল্য–সংকটে পড়ায় এসব ব্যাংক থেকেও অর্থ পাচ্ছে না।

দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে এখন ১০টি ইসলামি ধারার ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির আমানত প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্, এক্সিম, শাহজালাল, স্ট্যান্ডার্ড ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। আর প্রচলিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯টি ব্যাংকের শাখায় ইসলামি ধারার ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়। আর ১৩টি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং সেবা রয়েছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.