আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার |

kidarkar

আসন্ন ঈদ, খরচ বাড়ছে গরু পালনে!

শাহ আলম নূর : কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত যশোরের খামারিরা। ভালো দামের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ব্যক্তিপর্যায়েও অনেক গরু লালনপালন করা হচ্ছে।

খামারিরা বলছেন, প্রাকৃতিক ও সুষম খাদ্য দেয়ায় এ বছর খরচ বেশি হয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে যশোর গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে বেশ এগিয়ে। বিশেষ করে ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ায় খামার স্থাপনের মাধ্যমে এ জেলায় গরু পালন বেড়েছে।

এ বছর জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১১ হাজার ছোট-বড় খামারে দেশি পদ্ধতিতে পালন করা হচ্ছে হাজার হাজার গরু-ছাগল। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ব্যক্তিপর্যায়েও হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে অনেক গরু। দিন-রাতের অবিরাম পরিচর্যা এবং প্রাকৃতিক ও সুষম খাদ্য দিয়ে মোটাতাজা করা গরু-ছাগল এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত।

তাই আসন্ন ঈদের বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন খামারিরা। তারা বলছেন, খামারে যে গরু রয়েছে, তার সর্বোচ্চ মূল্য তিন লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন মূল্য এক থেকে দেড় লাখ টাকা। এবার করোনার প্রভাব কম থাকায় ভালো মুনাফার আশা করছেন। তারা কোনো ধরনের ইনজেকশন বা ওষুধ খাওয়াননি। গরুকে খুদের ভাত, ফল ও ভুসি খাওয়ান। গরু সুস্থভাবে রাখার চেষ্টা করেন।

খামারিদের দাবি, এ বছর গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে বর্তমান বাজারদর অব্যাহত থাকলে এবং ভারত থেকে গরু না এলে তারা লাভবান হবেন। এ বিষয়ে খামারিরা জানান, গরুর খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তারা আশা করেন, বাজারমূল্য এমন থাকলে এবং ভারত থেকে গরু না এলে লাভবান হবেন।

জেলায় এ বছর চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরু ও ছাগল পালন করা হয়েছে। এসব প্রাণীর মাংস শতভাগ নিরাপদ বলে জানান যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারব। এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার গরু আমাদের উদ্বৃত্ত থাকবে। এই কোরবানির ঈদে আমরা গবাদি পশু নিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হব না।’

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, কোরবানির জন্য জেলায় ৯৬ হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করা রয়েছে। যার মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি গরু এবং সাড়ে ৬৫ হাজার ছাগল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.