আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

সরকারে থাকলে চামড়া মোটা হতে হয় : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারে থাক‌লে সমা‌লোচনা হ‌বে। সরকা‌রে থাক‌লে সহ্য করার ক্ষমতাও থাক‌তে হয়, চামড়া মোটা হ‌তে হয়। আর সেটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আছে।

সোমবার (২ ডি‌সেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলা‌দেশের জাতীয় স‌ম্মেল‌নে দেওয়া বক্ত‌ব্যে এসব কথা ব‌লেন তথ্যমন্ত্রী।

মূলত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলন থেকে বক্তরা সরকারের সমালোচনা করছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, বি‌ভিন্ন রাজ‌নৈ‌তিক দ‌লের এবং আপনা‌দের দ‌লের কেউ কেউ সরকা‌রের সমা‌লোচনা কর‌ছি‌লেন। দায়িত্বে থাকলে তো ভুল হবে। সরকা‌রে থাক‌লে সমা‌লোচনা হ‌বে। যে গা‌ছে ফল ধ‌রে সে গা‌ছে ডিল মা‌রে, অন্য গা‌ছে মা‌রে না।

তিনি বলেন, দুনিয়ার কোনো সরকার ৫০০ বছর আগে থেকে শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারে নাই। আগামী শত বছরেও কোনো সরকার নির্ভুল কাজ করতে পারবে কি না সন্দেহ আছে।

বক্তব্যে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসার পরামর্শ দেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, কাজ যেগুলো হচ্ছে, সেটির প্রশংসা থাকতে হয়। ভালো কাজের প্রশংসা না থাকলে কাজের উৎসাহ কমে যায়। ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে, খারাপ কাজের সমালোচনাও করতে হবে। আমরা মনে করি, ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে।

তিনি বলেন, এই দেশ আমাদের সবার। সবাই রক্ত দিয়ে এ দেশ রচনা করে গেছেন। আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য দেশের কল্যাণ করা এবং এ জন্য সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান করা দরকার। একইসঙ্গে সবকিছুতে না বলারও রাজনীতিও বন্ধ হওয়া দরকার।

সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন করার কথা বলা হলেও তারা তা করেননি। আজ চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও বলতে পারত, তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সম্মেলন করবে। কিন্তু তারা তা করেনি। কারণ তারা মনে করেছেন ওখানে করতে গেলে মুসল্লিদের নামাজের সমস্যা হবে।

অতীতে বিভিন্ন সরকার কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির বিষয়ে ‘মুলা ঝুলানো’ নীতিতে ছিল বলে অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি বিষয়টি বহু বছরের পুরোনা দাবি। সেই দাবি পূরণ করা হবে বলে মুলা ঝুলিয়ে রাখা হতো। খালেদা জিয়া ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, এরশাদ সাহেব ঝুলিয়ে রেখেছিলেন কিংবা জিয়াউর রহমান ঝুলিয়ে রেখেছিলেন সেটা বলব না। তবে এটা ঝুলিয়ে রাখা হতো বা করা হতো। প্রধানমন্ত্রী মুলা ঝুলিয়ে না রেখে কার্যে পরিণত করেছেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.