আমরা বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো: উজমা চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সঙ্গে আমরা উন্নতি করেছি এবং বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেছি। আমরা থামবো না। ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো করবো। পৃথিবীতে বাংলাদেশ একটা সম্মানজনক জায়গায় এসেছে। আমরা বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) লেনদেন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের করপোরেট গ্যারান্টিযুক্ত বন্ড এবং লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের শেয়ার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ডিএসইর এটিবি।
অনুষ্ঠানে উজমা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য সবাই কোনো না কোনোভাবে অবদান রাখছে বলেই বাংলাদেশ আজ এমন একটা জায়গায় আসতে পেরেছে। আমরা বাংলাদেশকে আরও একটু এগিয়ে নিয়ে যাবো, এই চিন্তা থেকেই সবাই এখানে এসেছি। আজকের দিনটি আরও সুন্দর হবে এবং ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাইভেট সেক্টর অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সঙ্গে আমরা উন্নতি করেছি এবং বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেছি। সেই বিনিয়োগের জন্য আমাদের হয় ব্যাংকের ওপর অথবা ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকে এটিবির যে উদ্বোধন হচ্ছে, সেটা অনেক দিনের চাহিদা ছিল। চাহিদার কারণে এটা আসছে। এর মাধ্যমে নতুন একটা দিক উন্মোচন হচ্ছে। যেখানে প্রাইভেট সেক্টর ক্যাপিটাল মার্কেটের সঙ্গে আরও পাশাপাশি কাজ করে যেতে পারবে।
উজমা চৌধুরী বলেন, আমরা প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের একটা বন্ড ইস্যু করেছিলাম। যেটা বিএসইসি থেকে অনুমোদন নেওয়া। বিদেশি একটা প্রতিষ্ঠান এই বন্ডের গ্যারান্টার হিসেবে রয়েছে। আমরা বন্ডটাকে ‘এএ’ রেটিংয়ে নিয়ে যাই। ‘এএ’ রেটিংয়ের একটা বন্ডে পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে যে কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে আসতে পারেন। কিন্তু সেই বিনিয়োগকারী সাত বছরের জন্য নিজেকে লক করতে চান না। বিদেশি বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। এটিবি বোর্ডের মাধ্যমে এই প্রতিবন্ধকতা দূর হলো। কারণ, এই বন্ড খুব সহজে ক্রয়-বিক্রিয় করা যাবে।
তিনি বলেন, যে কেউ এই বন্ড কিনতে পারবে এবং যে কেউ এটা বিক্রি করতে পারবে। কাজেই বিদেশি বিনিয়োগকারী বা স্থানীয় বিনিয়োগকারী যে কোনো সময়ে আসতে পারবে এবং বের হয়ে যেতে পারবে। এতে আমাদের দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে এবং আমরা দেশে ও বিদেশে আরও বিনিয়োগ করতে বলতে পারবো। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবো। যেটা আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং রাজস্ব আয় বাড়াবে।
প্রাণ এগ্রো’র এই পরিচালক আরও বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগের রিটার্ন অনেক বেশি। আমাদের বিনিয়োগের রিটার্ন বেশি হওয়ার কারণে এখানে অনেক বিনিয়োগকারীর অনেক ধরনের ইচ্ছা থাকে। বহির্বিশ্বে কিন্তু আজকের দিনে সে রকম সুযোগ নেই এবং আস্তে আস্তে বিনিয়োগ কমে আসছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশ এখন একটা অর্থনৈতিক টার্ময়েলের (অস্থিরতা) মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা বাংলাদেশে এ রকম টার্ময়েল দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এখনো বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা চাচ্ছি বাংলাদেশ আরও সুন্দরভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে। আমরা ভবিষ্যতে আরও ভালো মান নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো। কারণ, আমরা অতি চ্যালেঞ্জিং সময়কে পার করতে পেরেছি।
উজমা চৌধুরী বলেন, আজকের এই উদ্বোধন যখন আমরা বহির্বিশ্বের কোনো একটা জায়গায় তুলে ধরতে পারবো, তখন বিনিয়োগকারীরা মনে করবে এই জায়গায় আসা এবং এখানে বিনিয়োগ করা কুয়াইট সিগনিফিকেন্ট (বেশি তাৎপর্যপূর্ণ)। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বিনিয়োগের রিটার্ন আকর্ষণীয় না। আমরা একসঙ্গে থাকবো এবং একসঙ্গে কাজ করে যাবো। আমরা থামবো না। আমাদের গতি এভাবেই থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।