আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

সোমালিয়ায় ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলা, নিহত ৩৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের আট সদস্য রয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) মধ্য সোমালিয়ায় আল শাবাব জঙ্গিদের দু’টি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। সোমালিয়ার সিনিয়র একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সোমালিয়ার মাহাস শহরে এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন আল শাবাবের সিরিজ হামলার সর্বশেষ ঘটনা এটি। সরকারি বাহিনী এবং মিত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো গত বছর বিদ্রোহীদের দীর্ঘদিনের দখলে থাকা অঞ্চল থেকে সরিয়ে দিতে শুরু করার পর এসব হামলার ঘটনা ঘটে আসছে।

সোমালিয়ার হিরশাবেল প্রদেশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হাসান-কাফি মোহাম্মদ ইব্রাহিম রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মৃতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। তারা নারী ও শিশু।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় নয় সদস্যের একটি পরিবার থেকে মাত্র একটি শিশু বেঁচে গেছে। অন্যান্য পরিবারও তাদের অর্ধেক সদস্যকে হারিয়েছে। দু’টি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা অনেক বেসামরিক বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে।’

মাহাস জেলা কমিশনার মুমিন মোহাম্মদ হালানে দেশটির রাষ্ট্রীয় রেডিওকে বলেছেন, একটি বোমা তার বাড়ি লক্ষ্য করে এবং অন্যটি ফেডারেল আইন প্রণেতার বাড়িতে আঘাত হানে।

অন্যদিকে আল শাবাবের মিডিয়া অফিস একটি বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা ‘ধর্মত্যাগী মিলিশিয়া এবং সৈন্যদের’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং হামলায় মৃতের সংখ্যা ৮৭ বলে দাবি করেছে।

অবশ্য আল শাবাব প্রায়ই স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বাসিন্দাদের চেয়ে হতাহতের বেশি পরিসংখ্যান দিয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারি আল-শাবাব। সোমালিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী।

এ কারণে আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে থাকে। অবশ্য আল শাবাবের এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশটিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের সরবরাহকেও সীমিত করেছে।

এর ফলে গত চার দশকের মধ্যে হর্ন অব আফ্রিকার এই দেশটির সবচেয়ে খারাপ খরার প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.