আজ: মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিজয় এলেও আমরা সেদিন মুক্তি পাইনি। আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম ১৭ ডিসেম্বর, আর জাতির পিতা ৮ জানুয়ারি। ১০ জানুয়ারি জাতির জনক ফিরে আসার পরই বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায়।’

তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি এক কারাগারে বন্দি করে রেখেছিল। তাকে শুধু বন্দী করেই রাখা হয়নি, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়েছিল। জেলাখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিদেশি ব্যক্তি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তি পেয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের (পরিবারের) কাছে আসেননি, বাংলার মাটিতে ফিরে বঙ্গবন্ধু ফিরে যান তার মানুষের কাছে, রেসকোর্স ময়দান। লাখো জনতার সামনে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন কীভাবে, কী নীতি আদর্শে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চলবে। রূপরেখা দিয়েছিলেন দেশ গড়ার।’
১০ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চান।

তিনি বলেন, ‘খুব আশা ছিল তিনি দেশকে গড়ে তুলবেন। ১০ জানুয়ারি তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, একে একে সবই করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দেন আমাদের। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কেউ এতো দ্রুত গড়ে তুলতে পারে, এ নজির বোধহয় কেউ দেখাতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কেবল বঙ্গবন্ধুর আমলেই ৯ শতাংশের বেশি হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের হাতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই স্বাধীন সার্বভৌম দেশের উপযোগী করে বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলেছিলেন। সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর কয়েকটা বছর সুযোগ পেলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই বাংলাদেশ হতো উন্নত দেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য! স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ওইসব দেশও থেমে থাকেনি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.