ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক পণ্য ১১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর দিকে লক্ষ্য করি, তাহলে দেখতে পাই জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে স্পেন এবং ফ্রান্সে বাংলাদেশের রপ্তানি যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার এবং ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২-২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে ৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যার প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়েরে তুলনায় মাত্র ১ দশমিক ১১ শতাংশ।
একই সময়ে, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং ৭৭৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
প্রচলিত বাজারের পাশাপাপাশি অপ্রচলিত বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে, জাপানে রপ্তানি ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫৪ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারতেও আমাদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ ৫৪৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পরিসংখ্যানে প্রধান দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও চলতি অর্থবছরের আগের মাসগুলোর তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি আরও হ্রাস পেতে পারে।