আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

তিন মাসে খেলাপি ঋণ থেকে আদায় কমেছে ৫১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোর সহজ নীতি ও ডলার সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা হওয়ায় খেলাপি ঋণ থেকে তিন মাসে আদায়ের পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ এর জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ থেকে আদায় হয়েছে ১,৮৭৬ কোটি টাকা। যদিও আগের প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুনে) আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩,৮৫৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে আদায় কমেছে ১,৯৮৭ কোটি টাকা বা ৫১%।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, “খেলাপি ঋণ যে হারে বাড়ছে, সে তুলনায় আদায় কম হওয়ার কারণ হলো- বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ শিথিল নীতি। ফলে দেখাচ্ছে খেলাপি বাড়ছে, আদায় কম হচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের জন্য সার্কুলার ঠিক আছে। অন্যদিকে কিছু ব্যবসায়ী এটার সুযোগ নিয়ে টাকা পরিশোধ করছে না। এতে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকে টাকা আসছে না এবং ব্যাংক নতুন করে লোন তৈরি করতে পারছে না।”

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের শিথিলতা কমিয়ে আনা উচিত। ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে কঠোর বার্তা দেয়া উচিত। এছাড়া বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য উপায়ে আদায়ের ওপর জোর দিতে হবে। আর ব্যবসায়ীদের উচিত নিজ ইচ্ছায় টাকা পরিশোধ করার মনোভাব তৈরি করা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, খেলাপি ঋণ থেকে আদায়ের পরিমাণ কমলেও ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২ এর জুলাই-সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে ৫,৫৫১ কোটি টাকা। যা আগের প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে ছিল ৩,৭০৬ কোটি টাকা।

গত বছরের এপ্রিল থেকে মূল্যস্ফীতি, ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে পণ্য আমদানিতে লাগাম দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একের পর এক নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানিতে নানা শর্তের কারণে ২০২২ (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত আমদানি এলসি ওপেনিং কমে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।

কোভিডের কারণে ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধে পুরোপুরি ছাড় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ওই সময়ে এক টাকা পরিশোধ না করেও খেলাপি হয়নি কেউ। পরের বছরও গ্রাহকেরা শিথিলতায় ঋণ পরিশোধের সুবিধা পায়।

এমনকি ২০২২ সালের শুরুর তিন মাস শতভাগ পরিশোধের শর্ত থাকলেও পরবর্তিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএমএসএমই ও শিল্প থেকে শ্রেণি বেঁধে ৫০-৭৫% পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.