আত্মঘাতি গোল,পেনাল্টি মিসেই কপাল পুড়লো রিয়ালের
স্পোর্টস ডেস্ক : একদিকে আত্মঘাতি গোল, অন্যদিকে পেনাল্টি মিস- রোববার রাতে চরম দুর্ভাগ্যই যেন ভর করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদের ওপর। মায়োরকার মাঠে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের পরাজয় নিয়েই ফিরতে হলো রিয়ালকে।
বার্সেলোনার সঙ্গে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা দৌড়ে আর বুঝি তাল মিলাদে পারলো না রিয়াল মাদ্রিদ! এক সপ্তাহ আগে রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে প্রথম বার্সার সঙ্গে পিছিয়ে পড়ে ২ পয়েন্ট। এবার মায়োরকার মাঠে খেলতে গিয়ে স্বাগতিকদের সঙ্গে হেরে বার্সার চেয়ে মোট ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়তে হলো লজ ব্লাঙ্কোজদেরকে।
১৩ মিনিটে আত্মঘাতি গোলটি করেন নাচো। এরপর ৬০তম মিনিটে পেনাল্টি মিস করে রিয়ালের সর্বনাশ ডেকে আনেন আসেনসিও। গোলটি হলে অন্তত সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো রিয়াল।
এই পরাজয়ের পলে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়ালো ২০ ম্যাচে ৪৫। সমান সংখ্যক ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫৩। অর্থ্যাৎ রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান দাঁড়ালো ৮ পয়েন্টের। ২০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ম স্থানে রয়েছে মায়োর্কা।
একটি দল পুরো ম্যাচে বল দখলে রেখেছিলো ৭৫ ভাগ। অথচ সেই রিয়ালকেই হারতে হলো ম্যাচ শেষে। মায়োরকার গোলপোস্ট লক্ষ্যে ২০টি শট নিয়েছিলো রিয়াল। কিন্তু কোনোটাই জাল খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে মাত্র ২৫ ভাগ বল দখলে রেখেছিলো মায়োরকা। পোস্ট লক্ষ্যে শট নিয়েছিলো মাত্র ৪টি। অথচ, তারাই একটি গোল আদায় করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
রিয়ালের হারে সবচেয়ে বড় লাভ হয়েছে বার্সেলোনার। রিয়াল মাদ্রিদের পর মাঠে নেমেছিলো বার্সেলোনাও। সেভিয়াকে হারিয়েই পয়েন্ট টেবিলে রিয়ালের সঙ্গে ৮ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে নিলো বার্সা।
আত্মঘাতি গোল দিয়ে এর পক্ষে নাচো বলেন, ‘ফুটবলে এমন কিছু ঘটতেই পারে। আমি হেড দিয়ে বলকে আয়ত্ত্বে নিতে চেয়েছিলা। কিস্তু বলটি আমার নাগালের বাইরে চলে যায় এবং গোল হয়ে যায়। তবুও আমরা একটা পেনাল্টি পেয়েছিলাম যেটা থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলো দল। কিন্তু পেনাল্টিটা কাজে লাগাতে পারেনি।’
রিয়ালের জন্য এই ম্যাচটা আরও দুর্ভাগ্যের। কারণ ম্যাচ শুরুর আগেই ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যান গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়। তার পরিবর্তে পোস্টের নিচে দাঁড়ান আন্দ্রে লুনিন। ইনজুরির কারণে খেলতেই পারেননি করিম বেনজেমা।