আজ: শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ইং, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

চতুর্থবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জিতে নিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

শেয়ারবাজার ডেস্ক: বিপিএলের নবম আসরের ফাইনাল হয়েছে ফাইনালের মতোই। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ ঘুরেছে পেন্ডুলামের মতো। লড়াইয়ে কখনো এগিয়েছে সিলেট আবার কখনও কুমিল্লা। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে ইমরুল কায়েসের দল। ফাইনালে না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে চতুর্থবারের মতো বিপিএলের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৫২ বলে ৭৯ রান করে কুমিল্লার জয়ের নায়ক জনসন চার্লস।

১৬ তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ ছিল হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু রুবেল হোসেনের ১৭তম ওভারেই ঘুরে যায় খেলার মোড়। গুরুত্বপূর্ণ সে ওভারে ২৩ রান দিয়েছেন ডানহাতি এ বোলার। আর তাতে খেলার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় কুমিল্লার হাতে। ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাদের দারুণ শুরু এনে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আন্দ্রে রাসেলের করা প্রথম ওভারে ১৮ রান তোলে সিলেট। কিন্তু পরের ওভারেই খেয়ে যায় ধাক্কা। রানের খাতা না খুলে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই তৌহিদ হৃদয়কে বোল্ড করেন তানভীর ইসলাম। গত কয়েক ম্যাচের মতো এবারও উপরে ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে এটি ছিল তার শততম ম্যাচ। কিন্তু গত ম্যাচের মতো এবার ব্যাট ঝড় তুলতে পারেননি সিলেট অধিনায়ক, ফেরেন কেবল এক রানেই। রাসেলের বলে কাভারে থাকা ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তারা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। এর মাঝে শান্ত ছুঁয়ে ফেলেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক আসরে ৫০০ রানের মাইলফলক।

ফাইনালের আগে তার দরকার ছিল ৪৮ রান। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন শান্ত। কিন্তু ৪৫ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ রানেই থামতে হয় তাকে। ইনিংসটি খেলার পথে দুইবার জীবনও পান শান্ত। অষ্টম ওভারে তানভীর ইসলামের বলে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন শর্ট মিডউইকেটে থাকা ইমরুল কায়েস।

কিন্তু শান্তর শটের জোর এতটাই ছিল যে তা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন কুমিল্লা অধিনায়ক। তাতে ৫১৬ রান নিয়ে আসর শেষ করেছেন শান্ত। বাঁহাতি এই ওপেনারের পর মুশফিক যোগ্যসঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে বিদায় নেন রায়ান বার্ল, থিসারা পেরেরা, জর্জ লিন্ডা ও জাকির হাসান। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ রান করেন বার্ল। মুস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে দুইবার জীবন পান লিন্ডা।

পরপর দুই বলে তার ক্যাচ ছাড়েন মঈন আলী ও লিটন দাস। পুরো ইনিংসজুড়েই কুমিল্লার ফিল্ডিং ছিল অবিশ্বাস্য বাজে। তবে মুশফিক অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৪ রান করেন তিনি। রাসেলের করা শেষ ওভার থেকে একাই তোলেন ১০ রান। তাতে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজ দুটি, রাসেল, নারাইন, তানভীর ও মঈন নেন একটি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে কুমিল্লাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন লিটন দাস। প্রথম দুই ওভারে কুমিল্লা পায় ২৬ রান। এর মধ্যে ৮ বলে ১৫ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। তাদের প্রথম ধাক্কা দেন রুবেল হোসেন। ৫ বলে ১০ রান করা সুনীল নারিনকে তিনি বানান জর্জ লিন্ডের ক্যাচ।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দারুণ করেন লিন্ডে। ইমরুল কায়েসের উইকেট নিয়ে তিনি দেন মেডেন। এরপর দলকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নেন জনসন চার্লস ও লিটন দাস। এ দুজনের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। রুবেলের বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৫ রান করা লিটনের ক্যাচ শান্ত দারুণভাবে নিলে ভেঙে যায় এই জুটি।

এরপর ম্যাচ কিছুটা হলেও হেলে পড়েছিল সিলেটের দিকে। ২৪ বলে কুমিল্লার দরকার ছিল ৫২ রান। এমন সময়ই এক ওভারে ২৩ রান দেন রুবেল হোসেন, হজম করেন ৩ ছক্কা ও ১ চার। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সিলেট। চার্লস ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৫২ বলে ৭৯ রান ও মঈন আলি ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ২৫ রান করে ম্যাচ শেষ করে আসেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.