আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

ইউসিবি সিএসআরের আওতায় কৃষিখাতে সহায়তাপ্রদানমূলক প্রকল্প−‘ভরসার নতুন জানালা’ বাস্তবায়ন করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে এ বছর কৃষিখাতে সহায়তাপ্রদানমূলক প্রকল্প−‘ভরসার নতুন জানালা’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য−দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নত পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ এবং জলবায়ুসহিষ্ণু টেকসই কৃষির প্রসার ঘটানো।

আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) কনফারেন্স রুমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিকল্পনা-বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের পরিচালক (এসিডি) জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব আরিফ কাদরী। ইউসিবিকর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় প্রকল্প পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ইউসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষি সচিব ও বিসেফের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার ফারুক, এটুআইয়ের হেড অফ ইনোভেশন ক্লাস্টার মানিক মাহমুদ, ইউসিবি এগ্রো-সিএসআর প্রকল্পের সমন্বয়ক, কৃষিবিদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব রেজাউল করিম সিদ্দিকীসহ কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ, কৃষি- উদ্যোক্তাগণ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাণিজ্যিক কৃষির বিকাশের জন্যই সারাদেশে কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের সহজ শর্তে সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। স্মার্ট কৃষি ঘোষণা বাস্তবায়নে সামগ্রিক কৃষিখাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হলে কৃষকের দোরগোড়ায় সহায়তা পৌঁছাতে হবে।

উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদকের স্বার্থ সুরক্ষায় বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।

এ জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে কৃসি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

উল্লেখ্য, ইউসিবি-র কৃষি-সহায়তা প্রকল্পে যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-সঠিক কৃষি ও খাদ্য উদ্যোক্তা চিহ্নিত করে চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান, দেশের ৬৪ জেলার প্রায় সকল উপজেলা থেকে প্রায় ১৩,০০০ কৃষি উদ্যোক্তার দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ; জলবায়ু-সহায়ক শস্য উৎপাদন ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সুবিধা সম্প্রসারণে সহায়তা/অনুঘটকের ভূমিকা পালন; উদ্যোক্তাদের মধ্যে অর্থ বা ঋণপ্রবাহ জোরদারকরণে উদ্যোক্তা সম্মেলনের আয়োজন; নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থাপনায় যুব সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, নারী ও যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ; একদল তরুণ ও যুব স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার; ৪০টি উপজেলাকে নিবিড়ভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোকে ‘মডেল এলাকা’ হিসেবে গড়ে তোলা; উন্নত, ক্লাইমেট স্মার্ট-কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও যন্ত্রের ব্যবহার এবং প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা; প্রকল্প এলাকার কৃষকদের মাঝে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী (নিরাপত্তা চশমা, কীটনাশক প্রতিরোধী পোশাক ইত্যাদি) বিতরণ করা; খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা প্রদান করা।

ইউসিবি-র এই প্রকল্প বাস্তবায়ন-সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে বিসেফ ফাউন্ডেশন ও এটুআই।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.