জাপানের ওয়ান্স-থ্রু বয়লার প্রযুক্তি নিয়ে এনার্জিপ্যাকের ওয়েবিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক: এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) সম্প্রতি ‘জাপানিজ ওয়ান্স-থ্রু বয়লার টেকনোলোজি’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারে বক্তারা মিউরা বয়লারে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও জাপানি ওয়ান্স-থ্রু বয়লারের সুবিধা নিয়ে কথা বলেন।
ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন মিউরা ইন্ডাস্ট্রিজ (থাইল্যান্ড) কোম্পানি লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার আৎসুশি কোযু, সোজিতৎ বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার আৎসুশি হিরাকুরি এবং ইপিজিএল’র পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি ডিভিশনের চিফ বিজনেস অফিসার মাসুম পারভেজ। ওয়েবিনারে এনার্জিপ্যাকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইপিজিএল’র পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি ডিভিশনের চিফ বিজনেস অফিসার মাসুম পারভেজ বলেন, “আমরা বাংলাদেশে মিউরা ব্র্যান্ডের বিশ্বসেরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বয়লারের প্রতিনিধিত্ব করছি। মিউরা জাপানের সবচেয়ে উন্নতমানের বয়লার, যার কার্যকারিতার হার ৯৮ শতাংশেরও বেশি। জ্বালানি-সাশ্রয়ী এই বয়লার সবরকম নিরাপত্তা বজায় রেখে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা রাখে।
সাম্প্রতিক ঘটনা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বলা যায় যে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে এবং আমাদের ইন্ডাস্ট্রির প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠতে মিউরা বয়লার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
মিউরা ইন্ডাস্ট্রিজ (থাইল্যান্ড) কোম্পানি লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার আৎসুশি কোযু বলেন, “জাপানে বয়লারের বাজার বেশ বড়। জাপানে উৎপাদিত ৭৪ শতাংশ বয়লারের মধ্যে ৫৭ শতাংশ বাজারই মিউরা বয়লারের।
মিউরা জাপানের এক নাম্বার বয়লার উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশেও এই বয়লারের বাজার অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত মিউরা বয়লার জ্বালানি ও স্থান সাশ্রয়ী এবং কমপ্যাক্ট সাইজের হওয়ার কারণে ছোট জায়গায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন ব্যবসার জন্য উপযোগী।
নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মিউরা বয়লারে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ফিচার (সেফটি ফিচার) আছে, যে কারণে এই বয়লার বিভিন্ন খাতের ব্যবসার ক্ষেত্রে শীর্ষ পছন্দে পরিণত হয়েছে।”
বিস্তৃত পরিসরে শিল্প-খাতে অসামান্য পারফরমেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে মিউরা। পরিবেশবান্ধব, কার্যকর ও খরচ সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে দেশীয় ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়েছে মিউরা।