ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও পদ্ধতি বাতিল
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৩৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘১ এপ্রিল, ২০১৫ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। ফলে আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সময়সীমা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।’
বিএসইসির এই নির্দেশনার ফলে আইপিও আবেদনের জন্য ব্যাংকে যাওয়া-আসার ভোগান্তি থেকে বিনিয়োগকারীরা রেহাই পাবেন। এখন ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া কোম্পানির আইপিও আবেদন করতে হবে। তবে প্রবাসী বাংলাদেশী বিনিয়োগকারী (এনআরবি) ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর জন্য আগের মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ বহাল রয়েছে।
এ ব্যবস্থা চালু হলে একদিকে ব্রোকারেজ হাউজের আয় বাড়বে অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা খুব সহজেই আইপিও আবেদনে অংশ নিতে পারবেন। ব্যাংক ব্যবস্থায় আবেদন জমা দিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তিতে পড়তে হবে না আর। এছাড়া রিফান্ড বিতরণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতাও মোকাবেলা করতে হবে না বিনিয়োগকারীদের।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে হামিদ ফেব্রিকসের আইপিওর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন আইপিও পদ্ধতির পাইলট প্রকল্প। পরে অন্যান্য আইপিওর ক্ষেত্রেও ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে আবেদন জমা নেওয়া হয়। পাইলট প্রকল্প সফল হওয়ায় ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করল বিএসইসি।
আগের আইপিও ব্যবস্থায় সাবস্ক্রিপশন থেকে শেয়ার লেনদেন শুরু হওয়া পর্যন্ত সাত সপ্তাহ সময় লাগত। এখন এ প্রক্রিয়া চার সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি লটারিতে যারা শেয়ার বরাদ্দ পাবেন না, তাদের টাকা দ্রুত সময়ে এ্যাকাউন্টে ফিরে যাবে।
শেয়ারবাজার/আ হা