ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বিএনপির লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হটানো : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বিএনপির লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হটানো। সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) অবস্থান একটা। তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়।’
‘এখন সর্বশেষ আমি যতটুকু জানি যতটুকু বুঝি রাজনীতি, বিএনপির এখন লক্ষ্যই হচ্ছে একটা, সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মঞ্চ থেকে হটানো। তারা ক্ষমতায় যাবে— এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন তাতে মনে হয় বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়বে, বলবে দোষ আওয়ামী লীগের। হঠাৎ খুব বেশি শীত হলে দোষ আওয়ামী লীগের। হঠাৎ করে বন্যা এলে দোষ আওয়ামী লীগের। তারপর বলবে যে বাংলাদেশে বজ্রপাতে এত লোকের মৃত্যু, এটাও দোষ আওয়ামী লীগের। এটা বিএনপি বলতে পারে। বিএনপির মুখে কোনো কিছু বাধে না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পঞ্চগড়ের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা উসকানি দিয়েছে, এর মধ্যে যারা অ্যারেস্ট হয়েছে তাদের নেতাও আছে। এই ঘটনায় কারা উসকানি দিচ্ছে? রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পেও…’
তিনি বলেন, ‘এখন তারা যে স্বাভাবিক পথে যেতে চায় না, তাদের আন্দোলনে ভাটা নেমেছে, সে কারণে তারা এখন নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি না সেটা কিন্তু আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগল কেন? একসঙ্গে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। আর সব দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপায়। ওখানে অক্সিজেন ব্লাস্ট হয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেছে, দোষ কার? আওয়ামী লীগের। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কার্বন ডাই অক্সাইড আর নাইট্রোজেন একই জায়গায় রাখাতে সংঘর্ষ হয়ে ব্লাস্ট হয়েছে। দোষ কার? আওয়ামী লীগের।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় আছে আত্মহত্যা করার জন্য? সরকার তো দেশের শান্তি চাইবে ক্ষমতায় থাকার জন্য। সরকার কেন গোলমাল লাগাবে? গোলমাল তো লাগাচ্ছে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য কেউ গোলমাল করে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশ সবাই চায়, যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন।’
মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব এখনো চূড়ান্ত হয়নি।এটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি। নীতিমালা একটা ড্রাফট করলেই যে সেটি ফাইনাল, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমার টেবিলে আসেনি, আমি এটি দেখবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।