বাংলাদেশে বিনিয়োগ অনেক সাশ্রয়ী ও নিরাপদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অনেক বেশি সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ। চায়না, কোরিয়া ও জাপান ইতোমধ্যে এখানে বিনিয়োগ করেছে। দেশের ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও এগিয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
রোববার (১২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে রাজধানীর বিজনেস সামিটে বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সরকার সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিনিয়োগবান্ধব করে। চায়না, কোরিয়া, জাপান ইতোমধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে। আমাদের ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও এগিয়েছে। বিডা অলরেডি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। ডিসিপ্লিনে এসেছে ই-কমার্স খাতে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কাজ করছে দেশ।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে। এদেশে বিনিয়োগ করলে ৪৭ থেকে ৮৪ শতাংশ শ্রমিকখাতে সাশ্রয় হবে। ম্যানেজারস স্যালারিতে সাশ্রয় হবে ৪১ থেকে ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া ৬ থেকে ৮৯ শতাংশ সাশ্রয়ী হবে পানিতে। বিদ্যুতে সাশ্রয় হবে ১০ থেকে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। সরকারপ্রধান এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো ধরনের অনিয়মকে ছাড় দেওয়া হয় না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের মেগা প্রজেক্টকে ঘিরে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মাসেতু, টানেল, পায়রা সেতুসহ আরো অনেক উন্নয়ন হয়েছে বিনিয়োগ-ব্যবসাকে সহজ করতে। বিশ্বের মধ্যে সবুজ কারখানায় সবচেয়ে বেশি আমাদের দেশে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্লিন সবুজ কারখানাটিও আমাদের দেশে। নিরাপদ কর্মপরিবেশ রয়েছে আমাদের, আসুন আমাদের এখানে, সব সুবিধা রয়েছে, বিনিয়োগ করুন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ বলেন, বিশ্বে এখন ম্যানমেইড ফাইবারের চাহিদা বাড়ছে। শ্রমবাজার ক্রেতারা তাদের ম্যানমেইড ফলাইবার পণ্য চায়। এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের এমন সংলাপ অব্যাহত থাকলে ১০০ বিলিয়নের ডলারের বিনিয়োগ আরো সহজ হবে। আমাদের দেশে ভালো জব মার্কেটে আছে, যেটা অন্য দেশের চেয়ে সাশ্রয়ী।
আয়োজিত সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে সামিটের আয়োজন করেছে এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআই ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।