আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

মিরাজের স্পিন বিষে কুপোকাত ইংলিশ ব্যাটার

স্পোর্টস ডেস্ক : সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নেমে অবশ্য দারুণই করেছে বাংলাদেশ দল। কেননা ইংলিশদের প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে বড় সংগ্রহ করতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। মূলত মেহেদী মিরাজের স্পিন বিষে নীল হয় ইংলিশরা। ১২ রান দিয়ে এই বোলার শিকার করেন ৪ উইকেট। তবে শেষ দিকে বেন ডাকেটের ব্যাটে চড়ে একশ রান পার করে ইংল্যান্ড দল।

সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ ধুঁকেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যদিও ভালোই শুরু করেছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালান এবং ফিল সল্ট। তবে তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১৬ রানে ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এই পেসার। সাজঘরে ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।

শুরুতে মালানকে হারালেও খুব বেশি চাপে নেয়নি ইংল্যান্ড। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন ফিল সল্ট। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন মঈন আলি। তবে আক্রমণে এসেই ফিল সল্টকে ফেরান সাকিব আল হাসান। সল্টকে সরে যেতে দেখে অফ স্টাম্পের ওপর বল রেখেছিলেন সাকিব। সে বলে টার্নের সঙ্গে ছিল বাউন্স। গতি বৈচিত্র্যে ডানহাতি ব্যাটারকে পরীক্ষায় ফেলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সল্ট। ১৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় তার নামের পাশে তখন ২৫ রান।

ধারাবাহিকভাবে ওপেনিংয়ে খেলা জস বাটলার আজ খেলতে নেমেছিলেন চারে। তবে ব্যাটিং অর্ডার বদলে সুফল পেলেন না তিনি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে কাটা পড়লেন। আগের ম্যাচে ক্যাচ আউট হলেও এবার আর নিজের স্টাম্প রক্ষা করতে পারলেন না তিনি। হাসানের স্বপ্নের মতো ডেলিভারির কোনো জবাব ছিল না ইংলিশ অধিনায়কের কাছে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ৪ রান।

সল্ট ও বাটলারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার দায়িত্বে ছিলেন মঈন আলি। তিনি সেটা মেটাতে গেলেন পাল্টা আক্রমণে। কিন্তু তাতে দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। মিরাজের বলে সুইপ করে ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে। একটি করে ছক্কা ও চারে মঈন করেন ১৭ বলে ১৫ রান।

৫৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে স্যাম কারান এবং বেন ডাকেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল ইংল্যান্ড। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না কারান। ১৬ বল খেললেও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এই তরুণ ব্যাটারকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন মিরাজ।

একই ওভারে রান আউটের শিকার হয়েছেন ক্রিস ওকস। মিরাজের করা ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে প্রান্ত বদল করতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। আর তাতে তিন অঙ্ক ছুতেই সাত উইকেট হারায় ইংলিশরা।

এরপর নিচের সারির ব্যাটাররাও সুবিধা করতে পারেননি। যারফলে বেশি দূর এগোয়নি তাদের ইনিংস। শেষদিকে অভিষিক্ত রেহান আহমেদের ব্যাট থেকে ১১ রান আসলে ২০ ওভার শেষে ১১৭ রান তুলে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ইনিংসে ১২ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মিরাজ। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.