আজ: শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ইং, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

ভুয়া তথ্যে দুই প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে আইসিবি’র ক্ষতি ১১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষায় বেশ কয়েকটি অনিয়ম, দুর্নীতি ও আইন লঙ্ঘন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটি মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ধানসিঁড়ি অটোরাইস মিলসকে ইকুইটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ তহবিল (ইইএফ) দেয়া এবং প্যাসিফিক ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজকে ডিবেঞ্চার ঋণ দেয়ায় প্রায় ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের আওতাধীন অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় আইসিবির এসব অনিয়ম উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ধানসিঁড়ি অটোরাইসের অতিরিক্ত ইইএফ সহায়তা মঞ্জুর, পুরোনো ট্রান্সফরমার বিনিয়োগ হিসেবে প্রদর্শন এবং জমির অতিমূল্যায়নের ফলে পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পবহির্ভূত সম্পত্তি জামানত হিসেবে গ্রহণ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত দায় থাকা সত্ত্বেও প্যাসিফিক ফুটওয়্যারকে ডিবেঞ্চার ঋণ দেয়ায় পাঁচ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৫ টাকার আর্থিক ক্ষতি পাওয়া গেছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ধানসিঁড়ি অটোরাইসের বিষয়ে বলা হয়েছে, আইসিবির চার অর্থবছরের আর্থিক কার্যক্রম নিরীক্ষাকালে দেখা যায়, ইইএফ কৃষি-বিষয়ক মঞ্জুরি বোর্ডের ১১০তম সভার অনুমোদনক্রমে ধানসিঁড়ি অটোরাইস মিলসের মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৯ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার টাকার ৪৯ শতাংশ বা চার কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ইইএফ সহায়তা বাবদ মঞ্জুরি দেয়া হয়। পরবর্তীকালে মঞ্জুরি বোর্ডের ১৮৯তম সভায় মোট প্রকল্প ব্যয় ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করে আগের ইইএফ সহায়তার পরিমাণ ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও উদ্যোক্তার ইক্যুইটির পরিমাণ ছয় কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

অপরদিকে মঞ্জুরিপত্রের শর্ত নং-১৭ মোতাবেক ইইএফ তহবিলের প্রথম কিস্তি ছাড়ের চতুর্থ বছরের মধ্যে সরকারের নামে ইস্যুকৃত শেয়ারের ২০ শতাংশ এবং প্রথম কিস্তি ছাড়ের অষ্টম বছরের মধ্যে প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে সম্পূর্ণ শেয়ার বাই-ব্যাক করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রথম কিস্তি বিতরণের পর ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলও মাত্র ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে, যা মঞ্জুরিপত্রের সংক্ষিপ্ত শর্তের পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালের ২৮ মে তিনটি দলিলের মাধ্যমে ২ দশমিক ০১ একর সম্পত্তি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ক্রয় করে। কিন্তু উদ্যোক্তা কর্তৃক বিনিয়োগকৃত অর্থ হিসেবে ভূমি কেনা বাবদ এক কোটি ৪৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর একই বছরের ৬ অক্টোবর প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শনের পর ভূমি কেনা বাবদ বিনিয়োগকৃত অর্থ এক কোটি ৪৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিবেচনা করা হয়। ফলে উদ্যোক্তা ও পরিদর্শন দল কর্তৃক বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রকৃত জমির কেনা দামের তুলনায় এক কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভূমি ক্রয়ের মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে ইক্যুইটি বেশি দেখিয়ে ইইএফ সহায়তা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই বছরের ২১ জুলাই ইইএফ কৃষি-বিষয়ক মঞ্জুরি বোর্ডের ১২০তম সভার কার্য বিবরণী অনুযায়ী, প্রকল্পের জন্য এক হাজার কেভিএ’র স্থলে ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের জন্য ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা যাবে। কিন্তু নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন না করে প্রকল্প এলাকায় রক্ষিত ৪০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পুরোনো ট্রান্সফরমারের মূল্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা পরিদর্শন দল কর্তৃক অনিয়মিতভাবে বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শন করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, প্রকল্প ব্যয় ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণপূর্বক ইইএফ সহায়তার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সে হিসাবে এক কোটি দুই লাখ দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত ইইএফ সহায়তা মঞ্জুর করা হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালের ১৪ জুন মঞ্জুরিপত্রের শর্তে উল্লেখ ছিল বর্ধিত ব্যয় উদ্যোক্তা বহন করবেন। ফলে অতিরিক্ত ইইএফ সহায়তা মঞ্জুর, পুরোনো ট্রান্সফরমার বিনিয়োগ হিসেবে প্রদর্শন ও জমির অতিমূল্যায়নের ফলে আইসিবির পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে নিরীক্ষক জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ইইএফ কৃষি-বিষয়ক মঞ্জুরি বোর্ডের ১১০তম সভায় ধানসিঁড়ি অটোরাইসের ২ দশমিক ০১ একর জমির ওপর স্থাপিত হবে মর্মে অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও আইসিবির ভূমি মূল্যায়ন রিপোর্ট এবং ভূমি মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ইইএফ কৃষি বিষয়ক মঞ্জুরি বোর্ড সে জমির মূল্য এক কোটি ৪৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা অনুমোদন করে। একই মঞ্জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক হাজার কেভিএ’র স্থলে ৪০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার স্থাপনের জন্য চার লাখ টাকা পুনর্নির্ধারণ করে পরিদর্শন দল সরেজমিনে যাচাইকালে ট্রান্সফরমারটি পুরোনো হিসেবে লক্ষ করেন। পরবর্তীকালে উদ্যোক্তা কর্তৃক নতুন কেনা হয়েছে মর্মে বিল ভাউচার দাখিল করে সে টাকা বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো হয়েছে। উদ্যোক্তার আবেদন এবং মঞ্জুরি বোর্ডের সর্বময় ক্ষমতার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ জুন মঞ্জুরি বোর্ডের ১৮৯তম সভায় প্রকল্পের অনুকূলে মোট প্রকল্প ব্যয় ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অপরদিকে প্যাসিফিক ফুটওয়্যারে ডিবেঞ্চার ঋণ দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, আইসিবি কর্তৃক প্যাসিফিক ফুটওয়্যারের অনুকূলে ডিবেঞ্চার ঋণ খাতে সাত কোটি টাকা ঋণসীমা মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ২৫ মে ঋণ পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। প্রথম কিস্তি একই বছর ৬ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় কিস্তি ২০১৮ সালের ১১ মার্চ বিতরণ করা হয়। ২৪টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ঋণটি আদায়যোগ্য ছিল। প্রথম কিস্তি পরিশোধের তারিখ ছিল ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর এবং এর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
এদিকে মঞ্জুরিপত্রের শর্ত নং-১৫ এবং অ্যাপ্রাইজাল ডিপার্টমেন্টের চিঠিতে দেখা যায়, প্রকল্পবহির্ভূত বিরুলিয়া বড় কাকর, সাভার, ঢাকা এবং প্ল্যানার্স টাওয়ার বাংলা, ঢাকার যথাক্রমে ৯০ শতক জমি এবং ১১ তলায় ২৬৯৭ দশমিক ৭৬ বর্গফুট বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট (পাঁচটি কার পার্কিংসহ) রেজিস্টার্ড বন্ধক নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ২৫ জুনের পর থেকে ঋণ হিসাবটিতে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ফলে ঋণটি সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকৃত বা খেলাপি।

এছাড়া অ্যাকাউন্টস স্টেটমেন্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ বিতরণকৃত দ্বিতীয় কিস্তির মূল দুই কোটি টাকা থেকে সুদ এবং প্রিন্সিপাল হিসেবে অনিয়মিতভাবে ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ১৯৪ টাকা (আসল ৩৬,০০,০০০ টাকা+১৮,৭২,১৯৪.৮৮ টাকা) সমন্বয় করা হয়েছে। এ থেকে সহজে প্রতীয়মান হয়, ঋণটি প্রকল্পে ব্যবহার না করে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। মঞ্জুরিপত্রের শর্ত নং ২০ এবং ২১ মোতাবেক প্রকল্পের সম্পত্তির ওপর বিমা কোম্পানির কাছ থেকে আইসিবির নাম অন্তর্ভুক্তিসহ বিমা পলিসি গ্রহণ এবং কোম্পানির আমদানিতব্য যন্ত্রপাতির এলসি খোলার সময় আইসিবির পূর্বানুমতি নেয়ার শর্ত থাকলেও তা পরিপালনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে প্রকল্পটি স্থাপনাসহ জনতা ব্যাংকের কাছে মর্টগেজকৃত বা দায়বদ্ধ। জনতা ব্যাংকের ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারির পত্র সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকের সিসি (হাইপো) ঋণের সীমাতিরিক্ত ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৮ টাকা দায় ছিল। অগ্রণী ব্যাংকের একই বছরের ১৪ ডিসেম্বরের পত্র অনুযায়ী এক কোটি ৪৮ লাখ টাকার দায় পুনঃতফসিল করা হয়েছে, যা ঋণ বিতরণকালে সিআইবি রিপোর্ট সরবরাহকৃত নথিতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন ডিপার্টমেন্ট নির্বাহী কমিটি অনুসারে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিআইবি রিপোর্টে হাইকোর্টের স্টে অর্ডার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিআইবি রিপোর্ট সরবরাহকৃত নথিতে যা পাওয়া যায়নি। এতে দেখা যায়, আইসিবি কর্তৃক গ্রাহক নির্বাচন সঠিক ছিল না। ফলে ঋণটি আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে নিরীক্ষার বিষয়ে আইসিবির জবাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পটির মূল অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক হওয়ায় প্রকল্পটি স্থাপনাসহ জামানত সে ব্যাংকের কাছে মটগেজকৃত। আইসিবি কর্তৃক প্রকল্পটির সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত সহ-জামানত দেয়ার শর্তসহ কতিপয় শর্তে কোম্পানি বরাবর মঞ্জুরিপত্র দিয়েছে। মঞ্জুরিপত্রের প্রদত্ত শর্তাবলি পরিপালন সাপেক্ষে কোম্পানি বরাবর অর্থ ছাড় করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি কর্তৃক প্রকল্পের সম্পত্তির ওপর বিমা পলিসি গ্রহণ করা হয়, যেখানে আইসিবির নাম যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরও উল্লেখ্য, আইসিবি কর্তৃক দেয়া প্রকল্প মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য কোম্পানির অনুকূলে আমদানিতব্য যন্ত্রপাতি আমদানি করার লক্ষ্যে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তাই কোম্পানি কর্তৃক এলসি খোলার আগে আইসিবি’র পূর্বানুমতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়নি।

ওপরে উল্লিখিত ধানসিঁড়ি অটো রাইস ও প্যাসিফিক ফুটওয়্যারের বিষয়ে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর গুরুতর আর্থিক অনিয়ম হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু জবাব না পাওয়ায় সে বছর ৩ মার্চ তাগিদপত্র দেয়া হয়। পরে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক আপত্তি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে প্রমাণকসহ জবাব পাঠানোর জন্য আইসিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিষয় দুটি নিয়ে নিরীক্ষার মন্তব্য, মঞ্জুরি বোর্ড কর্তৃক ধানসিঁড়ি অটোরাইসের জমির অতিমূল্যায়ন অনুমোদন করা এবং পুরোনো ট্রান্সফরমার বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো সঠিক হয়নি। জবাবে ট্রান্সফরমারে বিনিয়োগে চার লাখ টাকা উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি প্রমাণ করে, প্রাথমিকভাবে প্রকল্প মূল্যায়ন সঠিক ছিল না। আর প্যাসিফিক ফুটওয়ারের প্রকল্পবহির্ভূত সম্পত্তি জামানত গ্রহণ করা সঠিক হয়নি। ভিন্ন ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত দায় এবং পুনঃতফসিলকৃত ঋণ থাকা সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করা সঠিক হয়নি। আইসিবির নাম অন্তর্ভুক্তিসহ বিমা পলিসি গ্রহণের সপক্ষে কোনো প্রমাণক সরবরাহ করা হয়নি। যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলার সময় আইসিবির পূর্বানুমতি নেয়ার বিষয়টি মঞ্জুরিপত্রে উল্লেখ রয়েছে, যা পরিপালন করা হয়নি।

কিন্তু আলোচিত দুটি বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশ মোতাবেক আইসিবি কর্তৃক কোনো কার্যক্রম নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.