আজ: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ইং, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৯শে শাবান, ১৪৪৪ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার |


kidarkar

সামাজিক মাধ্যমে ‘সুইসাইড নোট’ লিখে শিরোনামে পায়েল


বিনোদন ডেস্ক : মি টু মুভমেন্টের সময় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে লাইমলাইট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। সেই থেকে আলোচনায়ই থাকেন এই অভিনেত্রী। এবার সামাজিক মাধ্যমে তিনি সুইসাইড নোট লিখে উঠে এলেন খবরের শিরোনামে।

সালটা ২০২০। সে সময় চলছিল মি টু আন্দোলন। ঠিক সেই মুহূর্তেই অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, ২০১৩ সালে নাকি জোরপূর্বক তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন অনুরাগ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন সাহায্যের।

তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্কনা রানাউত। যদিও সেই ঘটনার খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। এই ঘটনার দুবছর কাটতে না কাটতেই ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় অদ্ভুত দাবি তুললেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। লিখলেন, ‘আমি যদি আত্মহত্যা করি কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মরে যাই তাহলে তার দায়ভার কে নেবে?’

তবে এইটুকুতেই থেমে থাকেননি তিনি। আরো লিখেছেন, ‘আমি কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুত নই। আমি পায়েল ঘোষ। আত্মহত্যা করলে সকলকে ফাঁসিয়ে দিয়ে যাব’। মুহূর্তেই মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় তার এই পোস্ট। উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন তার ভক্তরা। যদিও অভিনেত্রীর এই পোস্ট নজর এড়িয়ে যায়নি মুম্বাই পুলিশের। সে কথাও নিজেই জানিয়েছেন পায়েল।

অন্য আর একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার পোস্ট দেখে বাড়িতে ছুটে এসেছিল ওশিয়াড়া পুলিশ। তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আমার ফিজিওথেরাপিস্টকে। আমি বর্তমানে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি সেটাও হয়ত জিজ্ঞাসা করা হবে’।

গত বছরের শেষের দিকেই শ্যুটিংসেটের মেকাপ রুমের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মরদেহ। সেই ঘটনায় অভিনেত্রীর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। অন্যদিকে এখনো উন্মোচিত হয়নি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য। আর এসবের মাঝেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সুইসাইড নোট লিখলেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.