আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ফেরাতে কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার চেয়ে কম, সেসব ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে বা অন্য উপায়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এ লক্ষ্যে সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ তিনভাগে ভাগ করে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে চিঠি দেবে বিএসইসি।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এ অবস্থায় সেসব ব্যাংককে বিনিয়োগে ফেরাতে পদক্ষেপ হিসেবে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ এবং সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারেকাছেও নেই। অথচ সেসব প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।

এবার তাতে অনীহা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি। শেয়ারবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার নিচে রয়েছে, সেসব ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে বা অন্য কোনো উপায়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন না দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির তথ্যানুযায়ী অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু শেয়ারবাজারের সহায়তায় ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়। যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলানিতে বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ করেছে, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরণ করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি, সেগুলোকে সুপার ফার্স্ট (দ্রুত গতিতে) বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.