মাগুরা শহরে সন্ত্রাসীদের দ্বারা মার্কেট জবরদখল
নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদা না দেওয়ায় মাগুরা শহরে একটি মার্কেট দখল করে নিয়েছে মিন্টু-সুমন বাহিনী। এ বিষয়ে মাগুরায় নানা প্রচেষ্টা করেও কোন সুবিচার পাননি ভুক্তভোগী পরিবার।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবারের তিন সহোদর ভাই। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ‘মাগুরায় সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক মার্কেট দখল’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড় ভাই আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের লাগোয়া দক্ষিণ পাশে ক্রয়সুত্রে জমিতে মার্কেট নির্মাণকালে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তারা ক্ষমতাসিন দলের কয়েকজন নেতার আর্শিবাদপুষ্ট এবং মাগুরা উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান শেখ রেজাউল ইসলামের ইন্ধনে পরিচালিত। তারা ওই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
তিনি বলেন, আমরা গত জানুয়ারী মাস থেকে আমাদের মার্কেট চালু করেছি এবং তিনটি দোকানের ভাড়াটিয়া বসিয়েছিলাম। সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত ১১টার দিকে মার্কেটে হামলা চালায়। এ সময় মার্কেটের সিসি ক্যামেরা খুলে নেয়ারর পর লাইট বন্ধ করে বিভিন্ন দোকানের তালা ভেঙ্গে ডাকাতি করে। এ সময় সর্বমোট ৫ লাখ টাকা ও মালামাল লুটপাট করেছে। এরপর মার্কেটের সামনে ৫/৬ গাড়ি মাটি ফেলে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। জোরজবরদস্তি করে ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে এখন তারা সম্পূর্ন মার্কেট দখলে নিয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, এ সময় আমরা পুলিশের শরনাপন্ন হলেও পুলিশ প্রশাসন আমাদেরকে কোন সহযোগিতা করেনি। এমনকি মার্কেটের একটি ট্রাক্টর হাতিয়ে নেয়ার সময় জনসাধারণ সন্ত্রাসীদের কয়েকজন সদস্যকে ধরে ফেললেও পুলিশের সহায়তায় তারা ছাড়া পায়। পরের দিন অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো আমরা মাগুরা পৌরসভার মেয়রসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের অবগত করেও প্রতিকার পাচ্ছি না। পরবর্তিতে আদালতকে অবহিত করানোর পর মামলার বিষয়ে প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেও থানা প্রশাসন নির্দেশ বাস্তবায়ন করে নাই। আমরা থানা প্রশাসনের অসহযোগিতার বিষয়টি অবহিত করে জেলা নির্বাহী ম্যাজেস্টিটের আদালতে মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত তদন্তের ভার সিআইডির উপর ন্যস্ত করেছে।
আব্দুর রহমান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। আমাদের জীবন ও সম্পদ হুমকির মূখে। আমরা স্থানীয়ভাবে কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। সেজন্য ঢাকায় এসে সংবাদ সম্মেলন করছি। আমাদের পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মাঝে বসবাস করছে। আমরা এর সুবিচার চাই।