আবহাওয়ার চোখ রাঙানি নেই, সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ!
স্পোর্টস ডেস্ক : দ্বিতীয় ম্যাচে ইতিহাস সেরা ৩৪৯ রান করেও বাংলাদেশের পাশে ‘জয়’ শব্দটি লেখা হলো না বৃষ্টির কারণে। তামিমের ১৫ হাজার, মুশফিকের ৭ হাজার এবং দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড চাপিয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্কোর। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতেই নামতে পারেনি। ফলে ম্যাচ হলো পরিত্যক্ত।
প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ১৮৩ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তামিম ইকবালের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ফল হলে নিশ্চিত সিরিজও জয় হয়ে যেতো বাংলাদেশের। তখন শেষ ম্যাচটি হতো কেবল আনুষ্ঠানিকতার।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ফল না হওয়ায় এখন শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের মিশন এবং আয়ারল্যান্ডের সামনে সিরিজ বাঁচানোর তথা সমতা আনার মিশন।
কে সফল হবে এই মিশনে? বলা মুশকিল। কারণ ক্রিকেট হলো গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশে ভালো খেলেছে বলে শেষ ম্যাচেও একই খেলা খেলতে পারবে তার নিশ্চয়তা নেই। পারলে তো কথা নেই, সিরিজ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। অন্যথা হলে তুমুল লড়াই হতে পারে শেষ ম্যাচে এসে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে হারের পর চট্টগ্রাম গিয়েই জয়ের খোঁজ পায় টাইগাররা। এরপর টানা তিন টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড বাংলাদেশের মাটিতে থাকতে থাকতেই চলে এলো আইরিশরা।
সিলেটে তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশ বলতে গেলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু মূল লড়াইয়ে এসে তামিম ইকবালের দলের সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটাররা।
সাকিব, তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওই ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। যা তখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। জবাবে ১৫৫ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ জয় পেল ১৮৩ রানের রেকর্ড ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকের ৬০ বলে ১০০, শান্তর ৭৩ এবং লিটনের ৭০ রানের ওপর ভর করে ৩৪৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে টাইগাররা। এরপরই নামে বৃষ্টি।
আজ সিলেটের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় আবহাওয়া মোটামুটি ভালো। সুতরাং বৃষ্টির চোখ রাঙানিও থাকছে না। ফলে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ টাইগারদের সামনে। তারা কি পারবে, এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে?