ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ক্ষতিপূরণ আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন “বাংলার সমৃদ্ধি” জাহাজটি গত ২২-০২-২০২২খ্রি. তারিখে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে গমন করে। অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে অবস্থানকালীন ২৪-০২-২০২২খ্রি. তারিখ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়।
এতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়া, পাইলট না পাওয়া এবং বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন ইত্যাদি কারণে অলভিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটি অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। গত ০২-০৩-২০২২খ্রি. তারিখ ইউক্রেন স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকাল ৫.১০ ঘটিকায় ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে অবস্থানকালে একটি ক্ষেপনাস্ত্র বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আঘাত হানে। এতে জাহাজের ৩য় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন এবং জাহাজের ব্রিজরুমসহ সকল নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জাহাজটি ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় জাহাজের হাল বীমাকারী রাষ্ট্রায়াত্ত বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (সাবীক)-কে অবহিত করে ফরমাল Notice of Abandon (পরিত্যাক্ত) প্রদান করা হয় এবং Constructive Total Loss (CTL) দাবি উপস্থাপন করা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসি’র সার্বিক প্রচেষ্টায় গত ০৯-০৩-২০২২খ্রি. তারিখে জাহাজে থাকা নাবিকদের এবং ১৪-০৩-২০২২খ্রি. তারিখে জনাব হাদিসুর রহমান, ৩য় প্রকৌশলী’র মৃতদেহ দেশে প্রত্যাবর্তণ করানো হয়। গত ১৬-০৬-২০২২ খ্রি. তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এম.পি. এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ নাবিক/তাদের পরিবারের মাঝে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার বীমাদাবির ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়।
বীমা চুক্তির Bloking & Trapping ক্লজ অনুযায়ী ২৪/০২/২০২৩খ্রি. তারিখ CTL সাইকেল সমাপ্ত হওয়ার পর বীমাকারী ও পুনঃবীমাকারী দাবীর অংক মার্কিন ডলার ২২.৪৮ মিলিয়ন দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
দাবীকৃত ২২.৪৮ মিলিয়ন হতে বীমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বীমাকারী সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক বিএসসি-কে ১৪.৩৭ মিলিয়ন পরিশোধ করা হয়েছে যা গত ২১-০৩-২০২৩খ্রি. তারিখে বিএসসি’র স্থানীয় ব্যাংকে গৃহীত হয়। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন হতে ১৪.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাপ্তির মাধ্যমে বিএসসি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ “বাংলার সমৃদ্ধি” জাহাজের বর্তমান বাজার মূল্যের সমপরিমান অর্থ আদায় করতে সক্ষম হয়।